ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মো. মাহফুজ (২০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। নিহত মাহফুজ হাওলাদার পৌর এলাকার বিকনা গ্রামের ষ্টেডিয়াম এলাকার আমির হাওলাদারের ছেলে। সে পেশায় ইজিবাইক চালক। হত্যাকান্ডের এই ঘটনা গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম।
হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে নিহতের মা মুক্তা বেগম এবং বাবা আমির হাওলাদার। রক্তাক্ত জখম হওয়া আমির ও মুক্তা দম্পতিকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসা দিতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি।
এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ সূত্র জানায়, আমির হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিলো তারই চাচাতো ভাই কবির হাওলাদারের সাথে। গত কদিন পুর্বে আমিরকে মারধর করেছে ভাই কবির। ঐ সময় বাবা আমিরকে মারধরের প্রতিবাদ করে ছেলে মাহফুজ। ঐ ঘটনায় চাচা কবিরের সাথে তর্ক হয় মাহফুজের। সেদিন চাচা কবির হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়ে গনমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলে ছিলো মাহফুজ তাকে মেরেছে। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই হাসপাতাল থেকে ফিরে শনিবার ১ জুন সকাল ১১ টায় কবির তার চার সন্তান, মেয়ে, জামাতা এবং নাতীকে নিয়ে হামলা চালায় আমিরের উপর। আমিরকে মারধরের এক পর্যায়ে মা এবং বাবাকে বাচাতে আসে আমিরের ছেলে মাহফুজ। তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা। এতে মাহফুজ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত হয় মুক্তা ও আমির। আহতরা জানায় কবির হাওলাদার তার সন্তানসহ স্বজনদের নিয়ে লাঠিসোটা এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী হামলা চালায়।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই হামলাকারী মোস্তফা নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..