নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৪ ঘন্টার মধ্যে রেজিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে এবং দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন পীরগঞ্জ উপজেলার মালগাঁও গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে মো: দেলোয়ার হোসেন এবং কানারি গ্রামের মৃত ধনিবুল্লার ছেলে মোঃ এনতাজুল। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় মৃত রেজিয়া খাতুনকে তারা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কু- প্রস্তাব দেয়। কু- প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা রেজিয়ার মুখ চেপে ধরে ও গলায় ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক প্রেস ব্রিফিং করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা বেগম, প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী সহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।
গতকাল সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে আম বাগান থেকে রেজিয়া বেগম (৪৫) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই নারী উপজেলা কানাডি গ্রামের মৃত এনামুলের স্ত্রী।
সোমবার সকালে উপজেলার কানাডি এলাকার বাড়ির পাশের একটি আম বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রেজিয়া বেগম ও তার ছেলের বউ ফেন্সি আক্তার ও তার নাতি জুবায়ের আল মাহমুদ ( ৩) একই বাড়িতে বসবাস করতেন। তার ছেলে জুলফিকার আলী ঢাকার নারায়ণগঞ্জে চাকরি করেন। সোমবার রাত ১ টার দিকে ঘরে কোন সারা শব্দ না পেয়ে ছেলের বউ ফেন্সি সহ অন্যান্য আত্মীয়রা আশেপাশে খোঁজ করে কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। পরে সকালে ওই গ্রামের মীরা বেগম, হামিদুর রহমান, সহ দুই থেকে তিনজন কৃষক মরিচ খেতে মরিচ তুলতে গিয়ে তার লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য: ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক ঠাকুরগাঁয়ে যোগদানের পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এবং তিনি যোগদানের পরে চারটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এই চারটিরই দ্রুততম সময়ে রহস্য উন্মোচন হয়েছে এবং আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক ২৩ সালের ২৭ জুলাই ঠাকুরগাঁওয়ে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি ঠাকুরগাঁও এর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য নানান পদক্ষেপ নেন। এবং এর সুফল পেতে শুরু করে ঠাকুরগাঁও জেলাবাসী। কথা হয় অ্যাডভোকেট জিতেন এর সাথে। তিনি বলেন, বর্তমান পুলিশ সুপার যোগদানের পর থেকে মাত্র ১০ মাসে বিপুল পরিমাণ মাদক এবং মাদক ব্যবসায়ীকে তিনি গ্রেফতার করেছেন। এছাড়াও বিপুল পরিমাণে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার , বিভিন্ন প্রতারক চক্রকে আমরা গ্রেফতার করতে দেখেছি। এতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। কথা হয় শিক্ষক আশরাফুল হোসেনের সাথে তিনি বলেন, বর্তমান পুলিশ সুপার যোগদানের পর থেকে চুরি, ছিনতাই এবং জমি দখল এসব অপরাধ কমে গেছে। একজন পুলিশ সুপার কিভাবে ভালো কাজ করতে পারে উত্তম প্রসাদ পাঠক তার উদাহরণ। শুধু যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো করেছে তা নয় আমরা মাঝেমধ্যেই তাকে মানবিক পুলিশ সুপার হিসেবে দেখতে পাই। বিভিন্ন দরিদ্র অসহায় পরিবারের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছেন চিকিৎসার সহযোগিতা করেছেন বিভিন্ন জনের পড়াশোনার খরচ দিয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..