চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: শিবগঞ্জের মনাকষাতে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীতে চলছে হরিলুট। চলছে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি। এখানে সরজমিনে নেই কোন উল্লেখ্য যোগ্য উপস্থিতি। নেই শতভাগ হতদরিদ্রদের স্থান। কর্মসূচীর তালিকায় রয়েছে হতদরিদ্রের স্থানে অবস্থাশালী,দোকানদার,ব্যবসায়ী, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদে নিকট আত্মীয়দের নাম ও সহ স্বচ্ছলদের নাম। মনাকষা ইউনিয়নে বর্তমানে চারটি প্রকল্পে মোট ৪৫২জন শ্রমিকের তালিকা রয়েছে। কোন প্রকল্পেই শতভাগতো দূরের কথা গড়ে ৩৩% এর কম উপস্থিতি দেখা গেছে। সরজমিনে গত মঙ্গলবার গোপালপুর মাঠে ফজলু কোলাহর জমি হতে ভারতের সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে গত ২০ এপ্রিল এবং শেষ হবে আগামী ২৯ মে। এখানে শ্রমিক প্রতি প্রতিদিন চার শ টাকা হরে মোট মোট ৩৩ দিন কার্যদিবসে মোট বরাদ্ রয়েছে ১৫ লাখ চার হাজার আট শ টাকা। শ্রমিকের সংখ্যা হলো ১১৪জন। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ৪২জন। অন্য প্রকল্পটি হলো রাঘববাটি মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফার জমি হতে সফিকুল ইসলামের জমি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের প্রকল্পে শ্রমিকের সংখ্যা রয়েছে ১২৫জন,একই হারে একই মেয়াদে মোট বরাদ্দ আছে এক লাখ ৬৫হাজার টাকা। এখানেও সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মোট ৪৩জন শ্রমিক। উপস্থিত শ্রমিকের মধ্যে অনেকেই শিশু ও শিক্ষার্থী রয়েছে। রয়েছে চাকুরী জীবিও। দিয়াড় এলাকায় আরো দুটি প্রকল্পেরও একই অবস্থা। মনাকষাতে হতদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচীতে ৪৫২জন শ্রমিকের তালিকার মধ্যে ১০৪জন নারী শ্রমিকের নাম না থাকলে সরজমিনে কোন নারী শ্রমিক দেখতে পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানে জানা গেছে এ নারী শ্রমিকরা ইউপি সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের নিকটতম আত্মীয়। তারা কোনদিনই কাজ করতে যাই না। তবে হাজিরা খাতায় তাদের উপস্থিতি ঠিকই থাকে। তাছাড়া অনেক শ্রমিক জানে না যে তালিকায় তার নাম আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে যারা অনুপস্থিত থাকছে তারাও ইউপি সদস্য ভাই স্ত্রী ভাতিজাসহ নিকটতম আত্মীয়। তাছাড়া কারো কারো সাথে চুক্তিবদ্ধ টাকার অর্ধেক টাকা যার নাম দেয়া আছে তাকে দিবে এবং অর্ধেক টাকা ইউপি সদ¯্য নিব্।ে যা এর আগেও ঘটেছে। এক্ষেত্রে তালিকাভুক্তিদের মোবাইল ফোনের সীম কার্ড ইউপি সদস্যরা নিজের কাছে রাখে এবং নিজের টাকা উত্তোলন করার চালু করে টাকা উত্তোলন করে। অন্য একটি সূত্রে জানা যদিও ইউপি সদস্যরা বলছেন যে নতুন করে কোন তালিকা হয়নি। পূর্বের তালিকাই রয়েছে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে তার উল্টো হয়েছে। পুরাতরন ইউপি সদস্যদের করা তালিকা হতে অনেকের নাম বাদ দেয়া হয়েছে এবং নতুন করে তালিকাভুক্তি করা হয়েছে। ৫নং ওযার্ডের পুরতান শ্রমিক মনিরুল ইসলাম জানান আমি ডায়বেটিকসের নানা রোগে আক্রান্ত। তালিকাতে আমার নাম রাখার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে বার বার অনুরোধ করেও শুনেনি। এব্যাপাওে ৪নং ওয়ার্ড সদস্য জেম আলির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন কয়েকদিন থেকে বাইরে আছি। ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মাইনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার প্রকল্পে কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে। কোন ত্রæটি নেই। কিছু বলার থাকলেও চেয়ারম্যানকে বলেন। ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা শাহাদাত হোসেন খুররম বলেন, যারা উপস্থিত নেই। তারা টাকা পাবে না এবং তাদের উপস্থিতিও হবে না। তালিকা রদবদল করা হয়েছে। কাজ করার পরও কোন শ্রমিক টাকা না পেলেও আমাদের কিছু করার নেই। কারণ এটি সরাসরি মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করেন। শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি কয়েকদিন তদারকি করেছি। উপস্থিতির সংখ্যার প্রায় ৫০% পেয়েছি। তবে যারা উপস্থিত হয় না। দায়দায়িত্ব তাদের। আমার পক্ষ থেকে অনিয়ম বা দূর্নীতির কোন ছাড় পাবে না।
এ জাতীয় আরো খবর..