জয়নাল আবেদীন, রাজবাড়ী প্রতিনিধি: ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার খবরে রাজবাড়ী জেলায় কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য ৫শ’ ৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করেছে ভারত। দু-দিনের মধ্যে বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি কৃত ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে ঢুকবে বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।
দেশের মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের ১৪ শতাংশ উৎপাদন হয় রাজবাড়ী জেলা থেকে, এই জেলা কৃষিতে অন্যতম।
বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারণে সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রচুর খরচ,সার-কীটনাশক, বীজ সবকিছুর দাম বেশি, প্রতি মন পেঁয়াজ উৎপাদন করতে খরচ হয় ২'হাজার থেকে ২২'শ টাকা, কমদামে পেঁয়াজ বিক্রি করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে।
উপজেলার বালিয়াকান্দি বাজারের কয়েকজন আড়তদার জানান, ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার খবরে বাজারে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। এক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। যে পেঁয়াজ শনিবারে বিক্রি হয়েছে ২৪'শ টাকা মন দরে, রোববার সেই পেঁয়াজের মন বিক্রি হচ্ছে থেকে ২'হাজার ৫০-টাকা দরে।
ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ। গত ডিসেম্বরে তারা প্রথম পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু তারপর অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়। বাংলাদেশ যত পেঁয়াজ আমদানি করে, তার সিংহভাগই আসে ভারত থেকে। তবে, ভারত পেঁয়াজ না দিলেই উৎপাদন ও মজুদ যায়ই থাকুক, দেশে বেড়ে যায় মশলা জাতীয় এই পণ্য পেঁয়াজের দাম।
এ জাতীয় আরো খবর..