মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা প্রশাসনের নীরবতায় সরকারী আইন অমান্য করে চলছে তিন ফসলি কৃষি জমি ধ্বংসের মহড়া। ১৮/০৪/২৪ ইং তারিখে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তিন ফসলী কৃষিজমির মাটি কাটা বন্ধে চুনোপুটিদের নামে মামলা হলে, রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে-দৈনিক গনকন্ঠ পত্রিকায় নিউজ হলে, কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়নি। ২৭/০৪/২৪ ইং তারিখে সর জমিনে গিয়ে পুনরায় দেখা ও জানা যায় সুরুজ কোম্পানি, সিংগাইর উপজেলার বল ধারা ইউনিয়নের খোলাপাড়া উত্তর পারিল চকের প্রায় অর্ধশত বিঘা তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে সাগর থেকে মহাসাগর তৈরি করছেন।অপরদিকে চারিগ্রাম ইউনিয়ন এর চরদাশের হাটি গ্রামীণ রাস্তার পাশে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটছেন চারিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রিপন হোসেন ও তার ভাই স্বপন,পাপল,ফরসেদ সহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন।চেয়ারম্যানের মাটির সাইট চলার কারণে চারিগ্রাম ইউনিয়ন এর গ্রামীণ রাস্তাঘাট বিনষ্ট হয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে। সুরুজ কোম্পানি তিন ফসলী কৃষি জমির মাটি পাচার করতে গিয়ে ২০ থেকে ৩০ টি অবৈধ দশ চাকার ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু ও মাটি পরিবহনের ফলে, গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেঙে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় করার পর প্রশাসন কে বারবার জানানোর পরেও, কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। সচেতন মহল তিন ফসলি কৃষিজমির মাটিকাটা বন্ধে ভূমি প্রতিরোধ আইনের ১৩ ধারার বাস্তবায়ন চায়। ১৩ ধারায় বলা আছে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটার শাস্তি দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড । বলধারা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা, মোঃ আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন, তিন ফসলী কৃষি জমির মাটিকাটা বন্ধে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।সিংগাইরের সাধারণ কৃষকরা বলেন সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউ এন ও)এবং সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) গত কয়েক মাসে মামলা তো দূরের কথা সুরুজ কোম্পানি ও চারিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটার সাইডে একটা মোবাইল কোর্ট করে অভিযান করতে পারেনি । সুরুজ কোম্পানি এখন পর্যন্ত ৫০ বিঘা তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে অথৈই গভীর সাগরে পরিনত করেছে, প্রশাসন এভাবে নিরব থাকলে সুরুজ কোম্পানি শত বিঘা তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে অথৈই সাগর করতে পিছনে ফিরে তাকাবে না।
এ জাতীয় আরো খবর..