সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাবে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। দেশটির এমন হামলার পর নিন্দা করে বিবৃতি দেওয়ায় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে তেহরান।
রোববার (১৪ এপ্রিল) আল-আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
এই তিন দেশের মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে বর্ণনা করেছে ইরান। একইসঙ্গে তাদের আচরণকে দ্বিমুখী বলে অভিযোগ করেছে তেহরান।
এর আগে, শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। নজিরবিহীন এই হামলার পর ইসলায়েল ইরানে পাল্টা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েলকে অগ্রিম সতর্ক করে তেহরান জানিয়েছে, ইসরায়েল প্রতিশোধের চেষ্টা করলে আরও কঠোরভাবে জবাব দেওয়া হবে।
ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসাইন বাঘেরি বলেন, আমাদের অপারেশন আপাতত শেষ হয়েছে। এই অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। তবে, ইসরায়েল পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করলে রাতভর বোমাবর্ষণের চেয়েও বড় পরিসরে হামলা চালানো হবে।
এ ছাড়া ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় যদি যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করে তাহলে মার্কিন ঘাঁটিতেও হামলার হুমকি দিয়েছে তেহরান।
এদিকে হামলার বিষয়ে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানান, ইসরায়েলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তার দাবি ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..