নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায়, সরকারি আইন অমান্য করে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটায়, মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরিমানার পাশাপাশি শুরু হয়েছে মামলা।মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের রিফাইতপুর মৌজার মাঝবিলের চকে ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে ক্রয় করে মাটি কেটে দীর্ঘদিন যাবৎ ইটের ভাটায় বিক্রয় করে আসছে।যাহার ফলে চাষাবাদযোগ্য তিন ফসলি কৃষি জমিগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।১৩/০৩/২০২৪ তারিখ দিবাগত রাত অনুমান ১০ ঘটিকার সময় বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরে সিংগাইর থানাধীন চান্দহর ইউনিয়নের রিফাইতপুর মৌজার মাঝবিলের চকে ১/ আঃ মালেক (৩৫),পিতা মৃত মুনছের, গ্রাম চক চান্দহর, উপজেলা/ থানা সিংগাইর জেলা- মানিকগঞ্জ ২/ মোশাররফ হোসেন মোল্লা (৬০),পিতা মৃত লেহাজ উদ্দিন মোল্লা, মানিকনগর, থানা সিংগাইর জেলা মানিকগঞ্জের ৩ ফসলী জমিতে উল্লেখিত আসামিদ্বয় অবৈধভাবে এসকেভেটর দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছে। উক্ত সংবাদটি চান্দহর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী এ কে এম আব্দুছ ছালাম, সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল কাইয়ুম খান কে অবহিত করে। উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইসহ অবৈধভাবে তিন ফসলি জমির মাটিকাটা বন্ধের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনার লক্ষ্যে ১৩/০৩/ ২০২৪ তারিখ দিবাগত রাত অনুমান ১০ঃ৩০ ঘটিকার সময় সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল কাইয়ুম খান, চান্দহর ইউনিয়ন ভুমি সহকারি সহ সিংগাইর থানার পুলিশ নিয়ে উল্লিখিত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিষয়টি টের পেয়ে আসামিদ্বয় দৌড়ে পালিয়ে যায়।এ সময় সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল কাইয়ুম খান ঘটনাস্থলে আসামিদ্বয়ের ফেলে যাওয়া অবৈধ মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত এস্কেভেটর যাহার মডেল নং ৩২০ সি জব্দ করার পাশাপাশি সহকারি কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মামলা দিয়ে থাকেন। সিংগাইর উপজেলার সকল শ্রেণীর মানুষ চান্দহর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী এ কে এম আব্দুছ ছালাম, সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল কাইয়ুম খান এবং সিংগাইর থানার পুলিশকে ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে সিংগাইর উপজেলার সকল শ্রেণীর মানুষ তিন ফসলী কৃষি জমির মাটি কাটার সাথে সকল জড়িতদের জরিমানার সাথে সাথে চলমান মামলা দিয়ে শাস্তি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি, আবুল হোসেন,সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের ১৩ ধারার বিধান মতে , মাটির উপরি স্তর কর্তন এর সাথে জড়িতদের অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড উভয় দন্ড বাস্তবায়নের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..