স্বাধীনবাংলা,পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার ১২৬ বছরের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার ঐতিহ্যবাহী টাউন হল ও ড্রামেটিক ক্লাব দখলদারদের কবল থেকে রক্ষার দাবীতে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও পটুয়াখালী দখিনা নাট্যমঞ্চসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা।
গতকাল বুধবার দুপূর সাড়ে ১২ টায় দখিনা নাট্যমঞ্চ পটুয়াখালীর আয়োজনে শহীদ স্মৃতি পাঠাগার হতে শতাধিক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি মৌন মিছিল সহকারে টাউন হলের সামনে উপস্থিত হয়ে দখলদারদের কবল থেকে ঐতিহ্যবাহী টাউন হল ও ড্রামেটিক ক্লাব মুক্ত করে সাংস্কৃতিক চর্চা গতিশীল করার জন্য অনুষ্ঠিত মানববন্ধনকালে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রুপে থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারী জেনারেল বিশিস্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব কামাল বায়েজীদ, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অনন্ত হিরা, সম্পাদক (অনুষ্ঠান) খন্দকার শাহ আলম, দখিনা নাট্য মঞ্চ পটুয়াখালীর সভাপতি এ্যাডভোকেট শৈলেন চন্দ, সহ সাধারন সম্পাদক আতিকুজ্জামান দীপু। অন্যান্যের মধ্য উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশনের সম্পাদক (অর্থ) রফিক উল্লাহ সেলিম, সম্পাদক (তথ্য ও গবেশনা) আবদুল হালিম আজিজ, সম্পাদক (দপ্তর) খোরশেদুল আলম, ঢাকা মহানগর থিয়েটার ফেডারেশনের সংগঠনিক সম্পাদক তপন হাফিজসহ স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এসময় বক্তারা বলেন, শুধু পটুয়াখালীই নয় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে টাউনহলের মত ইতিহাস ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতিষ্ঠানগুলো বেদখল হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশনসহ দেশের সকল সংস্কৃতিমনারা উদ্বিগ্ন। অনতিবিলম্বে পটুয়াখালীর টাউলহল অবৈধ দখলদারমুক্ত করে পূর্বের ন্যায় পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবী জানান হয়।
প্রকাশ, পটুয়াখালীর ঐতিহ্যবাহি টাউনহলের সামনের বারান্দাটি স্থানীয় কিছু লোভী ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে দখলে নিয়ে পাকা ওয়াল নির্মান করে গত মাসে। কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য ওই ওয়াল নির্মান করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশ হলে গোটা জেলায় সমালোচনার ঝড় উঠে। স্থানীয় সাংস্কুতিক সংগঠনের আন্দোলনের মুখে পরে যদিও পাকা ওয়াল ভাঙ্গা হলেও পরবর্তিতে ওই ব্যবসায়ীরা কাঠ দিয়ে দোকানঘর নির্মান অব্যাহত রাখে। এদিকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিকজোট লিখিতভাবে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন, মানববন্ধন, শহীদ স্মৃতি পাঠাগারে দফায় দফায় আনোচনা সভা, প্রতিবাদ সভা, নাগরিক কমিটির মতবিনিময়সভাসহ তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে পাকা ওয়াল নির্মানের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে দুইজন সংবাদকর্মী সুবিধাভোগি ব্যবসায়ী ও যুবদলের সহ-সভাপতি আকরাম শিকদার ও ব্যবসায়ী লিকন গাজী কর্তৃক লাঞ্ছিত হন। পরবর্তিতে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে জরুরী মিটিংয়ের সিদ্বান্ত অনুযায়ী ওই দুই ব্যবসায়ীসহ আরো ৭/৮জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন লাঞ্ছিত সাংবাদিক চিন্ময় কর্মকার।
পটুয়াখালীতে র্যাবের হাতে কচ্ছপসহ একজন গ্রেফতার ***
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি বিশেষ আভিযানিক দল মঙ্গলবার (২২.৯.২০) রাত আনুমানিক ০৮.১৫ ঘটিকার সময় পটুয়াখালী জেলা শহরের চৌরাস্তায় ট্রাফিক বক্সের সামনে, কুয়াটাকা টু যশোর গামী সেভেস ষ্টার পরিবহন হতে একজন কচ্ছপ ব্যবসায়ী সুকলাল বিশ্বাস (৩৫)কে আটক করা হয়। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে দীর্ঘদিন ধরে কচ্ছপ ব্যবসায়ের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। আটক কালে তার নিকট হতে ২৯ (উনত্রিশ) টি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়, যাহার ওজন ৩২ কেজি ৭০০ গ্রাম। ধৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত কচ্ছপসহ পটুয়াখালীর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে র্যাব বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আটক কচ্ছপ ব্যবসায়ী কলাপাড়া উপজেলার মাছুয়াখালী গ্রামের মৃত শৈলেন বিশ্বাসের ছেলে বলে র্যাব-৮, পটুয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার মোঃ রবিউল ইসলাম জানান। র্যাব-৮ এর এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে দুমকী উপজেলার লেবুখালী ফেরীঘাটের পল্টনের নবীন বরণ পরিবহন হতে ৭টি কচ্ছপসহ ব্যবসালী কৃষ্ণ সরকার (৪০)কে আটক করে র্যাব-৮।
পটুয়াখালীতে ভূমিদস্যু কর্তৃক দোকান দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ***
স্বাধীনবাংলা, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য ভূমিদস্যু পরিতোষ হাওলাদার কর্তৃক জোর পূর্বক কবলাকৃত সম্পত্তির দোকান ঘর দখলের পায়তারা, মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানী এবং পত্রিকায় ভুয়া সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক ইউপি সদস্য মোতালেব হাওলাদার।
গতকাল বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য (৫ নং ওয়ার্ড) আঃ মতলেব হাওলাদার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছেলে মামুন হাওলাদার।
উক্ত লিখিত বক্তব্য সূত্রে জানাগেছে, মোঃ আঃ মতলেব হাওলাদার একই গ্রামের পরেশ চন্দ্র হাওলাদারের কাছ থেকে ০২.১০.২০০৪ ইং তারিখ ও ওয়ালিউল ইসলামের কাছ থেকে ০৬.০৬.২০১৩ ইং তারিখ জে.এল ১১৩, এস.এ ৪১৮ নং খতিয়ানের ১৮৬৪ নং দাগ হইতে ৩.৫০ শতাংশ ভূমি বগা-হাজির হাট ডানিডা রাস্তার মাধবপুর বাজারের ডানিডা রাস্তার পূর্ব ও পশ্চিম পাশ চৌহদ্দী দিয়া ক্রয় করে দোকান দিয়ে ব্যবসা বানিজ্য করে আসছে। দিনে দিনে ব্যবসা বানিজ্য ভাল ও ভূমির মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় ইউপি সদস্য পরিতোষ হাওলাদার গং ওই জমি দখলের জন্য মতলেব হাওলাদার ও তার ছেলে মামুন হাওলাদারকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে। সম্প্রতি করোনার কারনে অনেক দিন বন্ধ থাকায় উইপোকায় দোকান ঘরটি ক্ষতির কারনে ঘরটি মেরামতের প্রয়োজন হয়। তাই পিতা-পুত্র ১০.০৮.২০ইং তারিখ সকালে কাঠ মিস্ত্রী দ্বারা দোকান ঘরটি মেরামত শুরু করলে ইউপি সদস্য পরিতোষ হাওলাদার বিকাল ৪টায় ভাড়াটিয়া একদল সন্ত্রাসী লোক নিয়ে ভোগ দখলীয় দোকান ঘর উচ্ছেদ করার জন্য ভাংচুর করে খুন জখমের হুমকি দিয়ে মারধর শুরু করলে ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোজন উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীদের মারধর থেকে রক্ষা পান পিতা-পুত্র। এ ঘটনা ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণকে শালিসের দায়িত্ব দেন। শালিসগন উভয় পক্ষের কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে সঠিক রায় দিবে বুঝে পরিতোষগং শালিস অমান্য করে চলে যায়।
শালিস বিচার না মানায়, মতলেব হাওলাদার ১৩.৮.২০ইং তারিখ বাউফল বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করেন। মামলা নং-৫৭/২০২০। এ মামলা করায় ইউপি সদস্য পরিতোষগং মতলেব হাওলাদার ও মামুন হাওলাদারের নামে বিভিন্ন রকম অপপ্রচারচালিয়ে তাদের নামে জুলুমবাজ পরিতোষ হাওলাদার ১০.০৯.২০২০ ইং তারিখ পাঁচ লক্ষ টাকার মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলা করে। এ মামলার পরদিন শুক্রবার সকাল ১০ টায় মতলেব হাওলাদারের দোকানে ইউপি সদস্য পরিতোষ হাওলাদারসহ চেনা অচেনা ১০-১২ জন সন্ত্রাসী লোক হামলা চালায় এবং দুই লক্ষ টাকা চাঁদার দাবী করে। এ চাঁদা টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে চাঁদার দাবীতে মারধর করে দোকানে থাকা ১০-১২ হাজার টাকার মুশুরী ডালসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাক চিৎকার করলে মতলেব হাওলাদারকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে বীর দর্পে চলে যায়। এ সন্ত্রাসী ঘটনায় পরিতোষসহ চার জনকে আসামী করে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে মামলা করেন মতলেব হাওলাদার। মামলা নং সি.আর নং- ২০৯/২০২০। যা তদন্তাধীন আছে।
উক্ত মামলা করায়, ইউপি সদস্য পরিতোষ সাংবাদিকদেরকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে “সংখ্যা লঘুর দোকান দখল করে বিএনপি নেতা” শিরোনামে একটি পত্রিকায় ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করায়। যা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ইউপি সদস্য মতলেব হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান। সংবাদ সম্মেলনে পিতা-পুত্র ঐ জুলুমবাজ ভূমিদস্যু সন্ত্রাসবাজ, চাঁদাবাজ পরিতোষ হাওলাদারের হাত থেকে তাদের কবলাকৃত সম্পদ ও দোকান ঘর রক্ষা করতে পারে তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাবেক ইউপি সদস্য মতলেব হাওলাদার।