নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দুই পক্ষের মদ্য হওয়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। বুধবার সকাল সাতটা থেকে ১০ টা নাগাদ এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় অন্তত ১০টি বাড়িঘর ভাঙচুরের শিকার হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আহতদের মধ্যে ৪৭ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকজনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কাউসার আহমেদও রয়েছেন।
চিকিৎসা নেওয়া আহতরা হলেন, কাউসার (৪২), মুখলেস (২৯), মোহন (২৫), জহুরুল হক (৩২), আব্দুল্লাহ (২৫), ছোট্র মিয়া (৫৫), মিলন মিয়া (২৩), রিপন মিয়া (২৯), জাকির মিয়া (২৮), রিপন মিয়া (২২), আব্বাস আলি (৪৫), তানভীর (২২), আশু মিয়া (৪২), শফিকুল (৩২), রফিক (৩৮), জসিম (৩২), রিপন (২৮), আবু লাল (৪০), কাউসার (১৪), আবন মিয়া (৩০), জয়নাল (৪০), লুৎফুর (৩০), সাদেকুল (৪০), নাজমুল (২০), ওহিদ (৪০), তারেক (২০), রামিত (৩০), জসিম (২০), সিরাজ (৪৫), কুশনাহার (৪০), রাসেল (১৪), নাসির মিয়া (৪৫), ফায়েজ মিয়া (৩০), বিল্লাল মিয়া (৩৫), আব্দুল্লাহ (২৭), আবু তাহের (৯০), মোশাররফ (৩০), সাকিব (১৮), মিলন (২৮), মনা মিয়া (১৮), নাঈম (১৫), হাকিম (৩০), শামীম (৩০), আবুল হোসেন (৩৫), মোজাম্মেল (২৫), মামুন (৩৫), আজগর (৪০)। তবে কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
সংঘর্ষ নিয়ে দুইপক্ষ দুই ধরণের বক্তব্য দিয়েছেন। এক পক্ষ বলছে, পূর্ব শত্রুতা ও সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। আরেক পক্ষ বলছে এক পক্ষের মেয়েকে আরেক পক্ষের ছেলে ভাগিয়ে নেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটে।
মূলত বর্তমান ইউপি মেম্বার ও যুবলীগ নেতা কাউসার আহমেদ এবং বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীনের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। কাউসার আহমেদের মেয়েকে জয়নালের পক্ষের মহসীন নামক এক যুবক জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ আছে। সংঘর্ষে দুই পক্ষে সাত আটটি গোষ্ঠী যোগ দেয় বলে জানা গেছে।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বেলা একটার দিকে জানান, এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মূলত এক মেয়েকে ভাগিয়ে নেওয়ার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
এ জাতীয় আরো খবর..