বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) থেকে শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই ঋণের ৫ কোটি (৫০ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে শ্রীলঙ্কা। আজ সোমবার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।
মেজবাউল হক বলেন, শ্রীলঙ্কার আবেদনের প্রেক্ষিতে কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়েছিল।
আজ সোমবার ৫০ মিলিয়ন ডলার ফেরত এসেছে। আমরা আশা করছি বাকি ১৫০ মিলিয়ন ডলারও যথাসময়ে ফেরত দেবে দেশটি।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সময়ে চার কিস্তিতে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেয় বাংলাদেশ। কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতির আওতায় এ ঋণ দেওয়া হয়েছিল দেশটিকে।
এক বছরমেয়াদী ওই ঋণের মেয়াদ শেষ হয় গত বছর সেপ্টেম্বরে। পরে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন মাস করে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়। ঋণের বিপরীতে লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেট (লাইবর) যোগ করে দেড় শতাংশ সুদ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
প্রথম দফায় ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট ৫০ মিলিয়ন ডলার বা ৫ কোটি ডলার ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দ্বিতীয় দফায় ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ডলার দেওয়া হয় ৩০ অক্টোবর। আর একই বছরের নভেম্বরে ৫ কোটি ডলার দেওয়া হয় দেশটিকে। এক বছরের ঋণ চুক্তির আওতায় গত বছরের আগস্ট, অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে সুদসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা। তবে নাজুক অবস্থায় থাকায় নির্ধারিত সময়ে ঋণ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় দেশটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসবামতে বর্তমানে দেশের রিজার্ভ আছে ২ হাজার ৯৩৮ কোটি (২৯.৩৮ বিলিয়ন) ডলার।
আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি মতে, দেশের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৩১৪ কোটি ডলার বা ২৩ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। এ রিজার্ভ দিয়ে ৪ মাসের মতো আমদানি দায় (প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে) মেটানো যাবে।
এ জাতীয় আরো খবর..