আওয়ামী লীগের সাধারণ সাম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার লড়াই থেকে বিএনপি ও তার দোসররা এখনও সরে যায়নি। বাংলাদেশের পতাকাকে উড্ডীন রাখতে এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখতে বিএনপিসহ তাদের দোসরদের প্রতিরোধ করতে হবে। রাজপথের আন্দোলনের এদের পরাজিত করতে হবে। নির্বাচনী লড়াইয়েও তাদের পরাজিত ও প্রতিহত করতে হবে।
এই দেশ তারা চায় না। তাদের দেশ পাকিস্তান, তাদের দেশ আফগানিস্তান। এদেশ তাদের নয়।
আজ সোমবার (২১ আগস্ট) গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কারা মিথ্যাচার করছে? আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করছে? ৭৫ কে ঘটিয়েছে? জবাব দিন। সেদিন শিশু, নারী, অন্তঃসত্ত্বা, গোটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন কারা করেছিল? জিয়া এর মাস্টারমাইন্ড। রাজনৈতিক অভিলাষ পূরণ করতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর।
বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশ, নির্বাচন, গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। তাদের প্রতিরোধ, প্রতিহত, পরাজিত করতে হবে। নির্বাচনী লড়াইয়ে এই অপশক্তি, খুনি, দুর্নীতিবাজদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। তাদের দেশ পাকিস্তান, তাদের দেশ আফগানিস্তান।
তাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ থাকলে এতসব ঘটনা ঘটাতে পারতো না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না, নিজেরা এর শিকার হয়। জিয়া পরিবার বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করেছে। হাওয়া ভবন থেকে ২১ আগস্টের নির্দেশ দিয়েছিল তখনকার যুবরাজ তারেক জিয়া। আজ কাপুরুষের মতো বিদেশে পলাতক আছে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ সভা সঞ্চালনা করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ২১ আগষ্ট শহীদদের স্মরণে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে পরে দলের পক্ষ থেকেও আরেকবার সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন। এরপরই সেদিনে নিহতের স্বজন এবং আহতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ জাতীয় আরো খবর..