আলোচিত ৪০তম বিসিএসে নন-ক্যাডারদের নিয়োগের ফলাফল প্রকাশে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সোমবার (২১ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ভুক্তভোগীরা।
তবে আদেশে আপিল বিভাগ বলেছেন, ৪০ তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদে স্থানীয় সরকার বিভাগের ১৫৬ জন ব্যতীত বাকি ৪ হাজার ৩২২ জনের নিয়োগ দিতে বাধা নেই।
২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরের বছরের ৩ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এবং ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি হয় লিখিত পরীক্ষা। এরপর করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে কার্যক্রম।
এরপর গত বছরের ৩০ মার্চ ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, স্বল্প সময়ের মধ্যে নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করার কথা থাকলেও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এতে বিপাকে পড়েন কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী।
এ সমস্যার মূল কারণ নন-ক্যাডার বিধিমালা। গত বছরের ৩০ মার্চ ৪০তম বিসিএসের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশের পর আগের বিসিএসের মতো করেই রেজাল্ট তৈরির কাজ চলছিল। হঠাৎ করে বর্তমান কমিশন উল্লেখ করে, আগের প্রক্রিয়ায় ফলাফল দেয়া বিধিসম্মত নয়। তাই নতুন বিধির প্রয়োজন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নন-ক্যাডার প্রার্থীরা আগের নিয়মেই ফলাফল দেয়ার জন্য পিএসসি প্রাঙ্গণে টানা ১৭ দিন আন্দোলন করে। তাদের ছয় দফা দাবি উপেক্ষা করেই পিএসসি নতুন বিধি প্রণয়নের দিকে অগ্রসর হয়, যা চলতি বছরের ১৪ জুন গেজেট আকারে প্রকাশ হয়।
গেজেট আকারে প্রকাশের পর ১৯ জুন নন-ক্যাডার প্রার্থীদের কাছ থেকে পছন্দক্রম বাছাইয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ৫ জুলাই। এরপর আবার শুরু হয় নতুন জটিলতা। পিএসসি প্রকাশিত পছন্দক্রম বিজ্ঞপ্তিতে ৪ হাজার ৪৭৮টি পদের মধ্যে এলজিইডির নবম গ্রেডের ১৫৬টি পদও ছিল। এলজিইডি এই ১৫৬টি পদ বাতিল চেয়ে চিঠি ইস্যু করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে রিট করে বসে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অল্প কিছু প্রার্থী। যে কারণে পিএসসি দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় থাকা এই পুরো বিসিএসের নন-ক্যাডার প্রার্থীর দ্রুত ফলাফল প্রকাশে অনাগ্রহ প্রকাশ করে।
এ জাতীয় আরো খবর..