মাসুদুর রহমান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জে গুরুদয়াল কলেজ সংলগ্ন মুক্তমঞ্চ ও পাগলা মসজিদ হতে পুরানথানা ব্রীজ পর্যন্ত নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার ওয়াকওয়ে ও মুক্তমঞ্চ সহ ৮ তলা বিশিষ্ট ওয়াচটাওয়ার অভিভাবকহীন থাকার কারনে বর্তমানে বিনোদন প্রেমি আর নির্লল খোলা পরিবেশে পায়ে হাঁটা লোকদের কাছে এক
বিড়ম্বনার নাম। ২০১২ সালে স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ শহরে মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদী খনন ও শহরের ভিতরে প্রবাহিত অংশের দুপাশে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে, ওয়াচটাওয়ার, জলটঙ্গী, প্রসস্হ শানবাঁধানো ঘাট সহ ৬টি দৃষ্টিনন্দন ব্রীজ সহ প্রকল্পটি শেষ করে। প্রকল্পের সংলগ্ন আশেপাশের এলাকা দর্শনার্থীদের কাছে একটি নির্মল বিনোদন স্পট হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। প্রকল্পে পাগলা মসজিদ হতে গৌরাঙ্গবাজার পর্যন্ত নদীর দুপাশে প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার মানুষ ওয়াকওয়ে ব্যাবহার করে।প্রকল্পের সবচেয়ে আকর্ষনীয় অংশ হলো গুরুদয়াল কলেজ সংলগ্ন আখরাবাজার ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ১ কিলো অংশ। তবে পরিতাপের বিষয় হলো এখান এখনের পুরা অংশটাই
খুচরা ব্যাবসায়ীদের দখলে। বলতে গেলে এখানে মাছ তরকারী বাদে সবই পাওয়া যায়। এখানে ব্যাবসা করতে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করতে হয়না। কয়েকজন মহিলার সাথে কথা বলে জানা যায় এখানে তারা মুলত কেনাকাটা করতে আসেন প্রায়ই। মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকা এখন ফাস্টফুডের দোকানে পুর্ন। প্রায় ২০০ এর মতো দোকান রয়েছে এখানে। দিন যাচ্ছে আর এখানে দোকান বাড়ছে দিন দিন।কোন এক প্রভাবশালী মহল এখানে দোকানের সামনে নতুন দোকান বসিয়ে দেয়। এব্যাপারে প্রশ্ন করলে কেউ মুখ খোলেননি,এড়িয়ে যান।
এব্যাপারে সুধীজনদের সাথে কথা বললে তারা জানান এর কারন হলো এর অভিভাবকহীনতা।প্রকল্প শেষ হবার পর
কাউকেই এর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয় নাই।এতিমধ্যে বেশ কয়েকবার কিশোরগঞ্জ পৌরসভা দায়িত্ব নিতে চাইলেও দেয়া হয়নি জেলা প্রশাসন হতে। মাঝে মাঝে পৌরসভা ইমার্জেন্সি কিছু রক্ষণাবেক্ষণ করে। মুক্তমঞ্চের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..