ফেনীর পরশুরাম বিলোনিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে মো. ইসমাইল হোসেন এয়াছিন (৩০) নামের এক বাংলাদেশী যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় বিএসএফ। ৪ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইসমাইল পরশুরাম পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড উত্তর বাউরখুমা বিলোনিয়া বাগামামা মাজার বাড়ির মিজানুর রহমানের ছেলে। এ বিষয়ে জানতে মজুমদারহাট বিজিবি’র কোম্পানি কমান্ডারকে ফোন দিলে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ইসমাইলের মা মায়া আক্তার বলেন, আমার ছেলে ইসমাইল সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় জমির ধান কাটতে যায়। যাওয়ার সময় সাথে গরু নিয়ে যায় এবং ছোট ভাইকে পরে আসতে বলে। পরে লোকমুখে শুনি আমার ছেলেকে ভারতীয় বিএসএফ জমিতে ধান কাটা অবস্থায় ধরে নিয়ে গেছে। তখন পাশে আরো কয়েকজন লোক ছিল তারা কোন রকমে পালিয়ে রক্ষা পায়। আমি আমার সন্তানকে ফিরে পেতে চাই বলে কাঁদতে থাকেন।
ইসমাইলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবরে বিলনিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় ইসমাইলের ঘটনা নতুন নয়,এর আগেও আরো অনেক কৃষককে ভারতীয় বিএসএফ ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। এসব হত্যাকান্ডের কোন বিচার হয়েছে বলে আমরা শুনিনি। বিগত সরকারের আমলে সীমান্তে অনেক মানুষকে হত্যা করেছে ভারতীয় বিএসএফ। কিন্তু এর কোন সমাধান বা বিচার বাংলাদেশের মানুষ পায়নি। তারা সীমান্তে হত্যা বন্ধে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারকে কঠোর ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।
এ বিষয়ে জানতে ৪ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ফেনীর (সিও) কে মোবাইলে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে জানান, ফেনীর বিলোনিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশের একজন নাগরিককে আটক করে ভারতের পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং তিনি বর্তমানে ভারতীয় পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলছি এবং প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য চেষ্টায় আছি।
এ জাতীয় আরো খবর..