×
সদ্য প্রাপ্ত:
চকরিয়ায় যুবদলের দ্বি বার্ষিকী কাউন্সিল সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত রাঙ্গাবালীতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি চকরিয়ায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ১ আরোহী নিহত" মহিপুরে চোর চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে আসলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি নেতা ইব্রাহিম ফরিদপুর বিসিসি ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাথে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির বরগুনা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় যোগদান ভান্ডারিয়াকে বাল্য বিবাহ মুক্ত উপজেলা ঘোষনা রাণীশংকৈলে পুষ্টি বিষয়ক সচেতনামূলক ক্যাম্পেইনিং পুষ্টি মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরন গাইবান্ধায় পুকুর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার, সৎ মা আটক
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৮-০৯
  • ৭০ বার পঠিত
টানা চার দিনের প্রবল বর্ষণ ও পার্বত্য অববাহিকার মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার রূপ ধারণ করেছে কক্সবাজারের চকরিয়া।

অব্যাহত ভারি বর্ষণের কারণে গত সোমবার দিবাগত রাত ২টা থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গার ওপর দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি শহরের পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হতে শুরু করে। এতে বিগত ৩০ বছরের ইতিহাসে বন্যার রেকর্ড ভেঙেছে এখানে।

এদিকে মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি কয়েক ফুট উচ্চতায় মহাসড়কের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এতে মহাসড়কের উভয় দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
তবে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন, থানা ও হাইওয়ে পুলিশের প্রচেষ্টার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক হয়। এতে অনেকটা ক্ষিপ্র গতিতে যানবাহন চলাচল শুরু করে চকরিয়া পৌর শহরের অংশ দিয়ে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পৌর শহরের ওই অংশ দিয়ে মহাসড়ক উপচে পানি প্রবাহ অব্যাহত ছিল।

তবে ধীরে ধীরে পানির উচ্চতা কমতির দিকে থাকলেও অব্যাহত ছিল বর্ষণ।
এলজিইডি নিয়ন্ত্রণাধীন প্রায় শতাধিক সড়ক ৮ থেকে ১০ ফুট পানিতে তলিয়ে থাকায় উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ কারণে জরুরি প্রয়োজনে গাছ-বাঁশ-কলা গাছের ভেলা ও নৌকায় করে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।

উপজেলার সিংহভাগ জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন- এবারের বন্যার যে ভয়াবহতা দেখা যাচ্ছে তা অতীতের সকল বন্যার রেকর্ড ভেঙেছে।

এতে সর্বক্ষেত্রে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে চালানো ত্রাণ তৎপরতা একেবারেই অপ্রতুল। এজন্য সরকারিভাবে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা চালাতে হবে। তা না হলে মানুষ দুর্বিষহ জীবন-যাপন করবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান কালের কণ্ঠকে জানান- স্মরণকালের ভয়াবহ এই বন্যায় উপজেলার পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

এসব মানুষ যাতে থাকা-খাওয়ার কষ্টে না ভোগেন সেজন্য শতাধিক সাইক্লোন শেল্টার ও দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে রান্না করা এবং শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।
ইউএনও জানান- বন্যাকবলিতদের জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে ২০ টন জিআর চাল, প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়নভিত্তিক জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তা বন্যার্তদের মধ্যে বিলি করা হচ্ছে।

কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও বন্যায় চকরিয়ায় এ পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছে। তন্মধ্যে মাতামুহুরী নদীতে লাকড়ি সংগ্রহে নেমে তীব্র স্রোতে ভেসে গিয়ে লক্ষ্যারচরের এক যুবক এবং বরইতলী ইউনিয়নে পাদদেশে বাড়ির ওপর পাহাড় ধসে দুই শিশু নিহত হয়েছে।

কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম কালের কণ্ঠকে জানান- ৩০ বছরের ইতিহাসে এই ধরনের ভয়াবহ বন্যা মানুষ দেখেনি। গত সোমবার থেকে অদ্যাবদি বন্যার্ত মানুষগুলোকে ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে রান্না করা বিরিয়ানির প্যাকেট সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। যাতে বন্যাকবলিত কোনো মানুষকে অনাহারে থাকতে না হয়।

সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, পানি নেমে গেলে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সরকারিভাবে সার্বিক সহায়তায় জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এজন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat