বাউফলে হামলায় নিহতদের দাফন সম্পন্ন; আটক ১১ পটুয়াখালী বাউফলের পূর্ব হামলার জেরে কেশবপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকু ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাবলু এই দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি রাকিব উদ্দিন রুমন তালুকদার(৩০) এবং ইউনিয়ন যুব লীগের সদস্য ঈশাদ তালুকদার(২৫) নিহত হয়েছেন। আজ ৩আগস্ট সোমবার তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে এ ঘটনায় আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সাংসদ, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ সমর্থিত উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকু এবং সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর মধ্যে স্থানীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাধারণ সম্পাদক সমর্থিত যুবলীগ নেতা রফিকুলকে বেধড়ক মারধর করে সভাপতি সমর্থিত ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা সুজন তালুকদার ও তার কর্মীরা। আহত অবস্থায় যুবলীগ নেতা রফিকুলকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর জেরে ওইদিনই রফিকুলের অনুসারীরা দুপুর ২টার দিকে সভাপতি সমর্থিত কর্মীদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বশির ও ইব্রাহিমকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে রোববার সন্ধায় সভাপতি সমর্থিত যুবলীগ নেতা রফিকুল কেশবপুর বাজারে গেলে যুবলীগ কর্মী রাকিব উদ্দিন রোমান ও ইশাত তালুকদাদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয় পক্ষ লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকুর আপন ভাই যুবলীগ নেতা রাকিব উদ্দিন রুমান ও চাচাতো ভাই ইশাত তালুকদারসহ ছয়জন আহত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আখতারুজ্জান জানান, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই নিশাতের মৃত্যু হয়। অপর দিকে রাত ৯ টার সময় রুমনকে নিয়ে আসলে ২০ মিনিট পড়েই তার মৃত্যু হয়। তাদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপসহ লাঠির আঘাত রয়েছে।’ সোমবার জেলা পুলিশ সুপার মাঈনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন জানান, এ ঘটনায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ রয়েছে। এসবিনি/নিডে