খন্দকার মোহাম্মাদ আলী সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণীমাগাতী ইউনিয়নে কাজী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাল্যবিবাহ পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় জেলা রেজিস্ট্রার, আইন বিচার বিভাগ, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত কাজী মোঃ রেজাউল করিম সে উল্লাপাড়া উপজেলার জঙ্গলখামার গ্রামের মৃত বজলার রহমানের ছেলে। তিনি ৭ নং পূর্ণীমাগাতী ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কাজী রেজাউল করিম দীর্ঘ দিন যাবত মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার বিধিমালার আইন লঙ্ঘন করে নিজে ও বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট রেজিস্ট্রার বহি সরবরাহ করে সাব কাজী নিয়োগ করে সরকারি আইন অমান্য করে প্রতিনিয়ত বাল্যবিবাহ রেজিস্ট্রি করে আসছেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সাজাপ্রাপ্তও হয়েছিলেন। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে সে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে বাল্যবিবাহ দিয়ে আসছেন। যার ফলে এলাকায় বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে মোছাঃ সুমাইয়া খাতুন, মুরশিদা খাতুন, ছামিয়া খাতুন ও কানিস কনাসহ কয়েকজনকে বাল্যবিবাহ পড়ানোর অভিযোগে পূর্ণীমাগাতী ইউনিয়নের ভেংড়ী গ্রামের মারুফ বিন সাঈদ নামে সুশীল সমাজের এক প্রতিনিধি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর তার নিকাহ্ রেজিস্ট্রার লাইসেন্স বাতিলের জন্য অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কাজী রেজাউল করিমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার ফারহানা আজিজ বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জেলা রেজিস্ট্রার ও আইন বিচার বিভাগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার শরীফ তোরাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারকে এ বিষয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে তা আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..