আব্দুল মজিদ ঠাকুরগাঁও থেকে:
ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানার অন্তর্গত রামনাথ হাটে চলমান আজাদ মেলায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অশ্লীল যাত্রাপালার নৃত্য বন্ধ হলেও মেলায় বর্তমানে অবাধে চলছে জুয়ার ব্যবসা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেলায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন লটারি খেলার জন্য। প্রলোভন স্বরূপ মেলায় ২৫০টি ড্রামের মাধ্যমে এবং মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে লটারি টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। লোভনীয় পুরস্কারের অফার দিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে।লটারি খেলার প্রলোভন ও সর্বস্বান্ত মানুষের কান্না দেখার কেউ নেই।লটারি বিজয়ীদের জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ট্রাক্টর, পালসান মোটরসাইকেল, এবং সোনার ভরির হারসহ মূল্যবান উপহার। এসব প্রলোভনে পড়ে অনেকেই সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষেরা এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বেশি। তাদের সঞ্চিত অর্থ হারিয়ে তারা এখন চরম বিপাকে রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মেলার এই জুয়ার আসরের বিষয়ে প্রশাসন ও পুলিশের নাকের ডগায় ঘটলেও এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং মেলার আয়োজকরা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে জুয়ার ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসন অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে মেলার এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করুক এবং তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি উঠছে।
এই অবস্থায় মেলার জুয়ার আসর বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ঠাকুরগাঁওয়ের বিশিষ্ট প্রবীণ সাংবাদিক নাজমুল হাসান জানান, এই জুয়ার আসর বন্ধ না হলে সমাজে আর্থিক ও সামাজিক বিপর্যয় আরও তীব্র হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে এই প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপই পারে এলাকার সাধারণ মানুষকে এই মরন ফাঁদ থেকে রক্ষা করতে।
এ জাতীয় আরো খবর..