এম. এ. হাসনাত আজমিরীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি;
হবিগঞ্জের আজমীরীগঞ্জ পৌরসভাধীন একটি কিন্ডারগার্ডেন সংলগ্ন, মাছ বাজার শেট এর নিচে ও সবজি বাজার যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ময়লার স্তূপ পুড়ে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। পৌরসভার তদারকির অভাবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। ময়লা ফেলা ও পুড়িয়ে অপসারণ করার প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলেছে, যা শুধুমাত্র পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং আশপাশের মানুষ, পথচারী এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা ও বাজার থেকে সংগৃহীত ময়লা-আবর্জনা এই গুরত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা হয়। পরে সেই ময়লা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। এই প্রক্রিয়ার ফলে বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে, যা আশেপাশের মানুষের শ্বাসকষ্ট, চোখে জ্বালা এবং ত্বকের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ময়লার স্তূপ থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরত্বে একটি কিন্ডারগার্টেন (ইকরা শিশু একাডেমী ) স্কুল অবস্থিত। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, প্রতিদিন ময়লা ফেলা ও পোড়ানোর কারণে স্কুল প্রাঙ্গণ ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। শিশুরা মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছে না, এমনকি ক্লাসরুমে বসে পড়াশোনা করতেও কষ্ট হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শারীরিক অসুস্থতার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। এক বাসিন্দা বলেন, "আমাদের এলাকা দূষণের কারণে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো পরিবেশ ও স্বাস্থ্য উভয়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইডসহ বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে গুরুতর পরিবেশগত সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ময়লার ব্যবস্থাপনার জন্য আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।
স্থানীয় জনগণের দাবি, ময়লা পোড়ানোর পরিবর্তে রিসাইক্লিং এবং আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সমস্যার সমাধান করা হোক। পাশাপাশি কিন্ডারগার্টেনের কাছে ময়লা ফেলা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী।