স্বাধীনবাংলা, ডেস্ক রির্পোটঃ

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দাবি করেছে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন খাতের সাতটি প্রকল্পে মোট বরাদ্দের ৫৪ শতাংশই লোপাট হয়েছে। বনায়ন ও সোলার প্যানেল স্থাপনের এ কাজ পেতে সাবেক এক মন্ত্রীর একান্ত সচিবকে ১০ শতাংশ ঘুষ দিতে হয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, প্রকল্পে অনিয়ম জেনেও সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। ক্ষয়ক্ষতি রোধে ২০১০ থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বনায়ন ও সোলার প্যানেল স্থাপনসহ ১৭৩ টি প্রকল্প নেয় সরকার। এসব প্রকল্পের ৭ টির উপর জরিপ চালিয়ে অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য পায় টিআইবি। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয় জরিপের এ ফল।

আরোও পড়ুনঃ বৈদ্যুতিক বাতির গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৩ ইউনিট ***

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্প-১ বনায়নের জন্য বরাদ্দকৃত ৩.২৮ কোটি টাকার ৪০ শতাংশ বা তহবিলের ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে।

প্রকল্প-২ বাস্তবায়নে প্রায় ১ লাখ চারাগাছ কম লাগানোর অভিযোগসহ প্রকল্পের আওতায় ক্রয় করা যানবাহন ও অফিস সরঞ্জাম প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় থেকে আত্মসাৎ করা হয়েছে ৫৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

প্রকল্প-৩ বাস্তবায়নে নিম্নমানের চারা রোপণসহ, প্রকল্পের উল্লিখিত কার্যক্রমের আংশিক বাস্তবায়ন ও ব্যয় দেখিয়ে বরাদ্দকৃত তহবিলের অংশ বিশেষ ১ কোটি ৮৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

প্রকল্প-৪ বাস্তবায়নে প্রকল্পের ৫০ শতাংশ কাজ বাস্তবায়ন করে বাকি অর্ধেকের মতো তহবিল ৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

প্রকল্প-৫ বাস্তবায়নে ২৮ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় প্রাক্কলনের মাধ্যমে ৫৫ লাখ ৯০ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

প্রকল্প-৬ বাস্তবায়নে একর প্রতি ১১ লাখ টাকা অতিরিক্ত দামে ৪ একর জমি ক্রয়সহ অতিরিক্ত ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ২৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

প্রকল্প-৭ বাস্তবায়নে ৭০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় প্রাক্কলনের মাধ্যমে অপচয় করা হয়েছে ৬৯ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান দাবি করেন, এসব প্রকল্পে শুধু লাভবান হচ্ছে প্রভাবশালী মহল।

ক্ষতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহে সরকারের সক্রিয় ভূমিকা নেই বলেও দাবি করে সংস্থাটি।

জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল ব্যবহার নীতিমালা ২০১২ লঙ্ঘন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট শাস্তির বিধান ও নীতিমালা সংশোধনসহ ৫ দফা সুপারিশও করে টিআইবি। সূত্রঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন।