×
সদ্য প্রাপ্ত:
বিমান দুর্ঘটনায় আজারবাইজানের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে সৌদি আরব নওগাঁর পত্নীতলায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমিল্লায় খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের আসামি বিপ্লব আটক পলাতক আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ী ডাকাতি: ক্ষতি নিয়ে পরিবারের দুরকম বক্তব্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী-দল বিএনপি,চকরিয়া পৌরসভা বিএনপি'র কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্বাচন শেষে বরগুনা প্রেস ক্লাবের ফলাফল প্রকাশ রূপগঞ্জে কৃষি জমিতে জোরপূর্বক বালু ভরাট করায় ভূমিদস্যু দালাল চক্রের সদস্যকে গণধোলাই দিলো কৃষকরা ময়মনসিংহে ৭০০ পিস নেশাজাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার- ১ মোকামতলায় শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতি আন্তঃজেলা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত দিনাজপুরে আত্মগোপনে থাকা সাবেক এমপিকে ধরতে পারলো না পুলিশ
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১২-২৫
  • ৮ বার পঠিত
আবু হাসান আপন নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া) প্রতিনিধি
শীতকালের সঙ্গে জড়িয়ে আছে খেজুরের রস। শীতের সকালে কাঁপতে কাঁপতে খেজুরের রস পানের স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে যায় এই রস দিয়ে বানানো গুড়-পাটালির পিঠা-পায়েস। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো দেশের দক্ষিণ- পূর্বাঅঞ্চলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। শীতের আগমনে খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য গাছিদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য শুরু হয়েছে।


নবীনগর উপজেলার বিটঘর এবং টিয়ারা গ্রামে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি খেজুরগাছ। গতকাল বিকেলে খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য নলি তৈরির কাজ করতে দেখা যায় কয়েকজন গাছিকে।


গাছিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতের শুরুতে কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকে খেজুরগাছের রস সংগ্রহের জন্য কাটার কাজ শুরু হয়। এভাবে কয়েক দিন রেখে দেওয়া হয়। ১০ থেকে ১৫ দিন পর কাটা অংশে চোখ বা নলি তৈরি করা হয়। এই নলি দিয়ে রস ঝোলানো মাটির হাঁড়িতে গিয়ে পড়ে। যেদিন হাঁড়ি ঝোলানো হয়, পরের দিন সকালে গিয়ে রসসহ হাঁড়ি নামিয়ে আনেন গাছিরা।


এই গাছগুলো থেকে রস সংগ্রহ করে বিভিন্ন এলাকার অনেক লোকজন গাছতলা থেকেই পানের জন্য রস খেয়ে যান এবং সাথে করে কিনে নিয়ে যান।


গাছি মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুদিন হলো খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু করেছি। শুরুর দিকে হওয়ায় এখন রস পড়ছে কম। শীত একটু জেঁকে বসলে রস ভালো পড়বে। তখন রস মিষ্টিও হবে বেশি।’ আমাদের এখানে কয়েক ধাপে সেফটিও রাখা হয়েছে।


নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের টিয়ারা গ্রামের গাছি সাইদুল ইসলাম ও তাঁর ভাই আল আমিন এবার ২০ থেকে ২২টি খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করবেন। এবং এতে ৭০ থেকে ৮০ লিটার রস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার বাবার আমল থেকেই দেখে আসছি শীতকাল এলেই খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে। এখন আমরা খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করি।


নবীনগর উপজেলার টিয়ারা গ্রামের আরেক চাষি কাউছার মিয়া এবার ৫ থেকে ৭টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করবেন। তিনি বলেন, আগের মতো তাঁদের এলাকায় খেজুরগাছ পাওয়া যায় না। অনেক মালিক গাছ কেটে ফেলেছেন। তবে সেই পরিমাণ নতুন করে গাছ লাগানো হয়নি। শীতের সময় রস পাওয়া ছাড়া গাছগুলো থেকে তেমন কিছু হয় না। এ কারণে অনেকে খেজুরগাছ রাখেন না। আবার অনেকে গাছ কেটে মাটির বাড়ি নির্মাণে ব্যবহার করেন।

তাঁরা বলেন, মানুষের এত পরিমাণের চাহিদা সে অনুযায়ী আমরা রস দিতে পারি না। রাত হলে কয়েকটি গাছ থেকে রস চুরি হয়ে যায়। সকালে বিভিন্ন দূর এলাকা থেকে রস খাওয়ার জন্য ভিড় করে। আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে সন্তুষ্ট রাখতে। এরজন্য বাড়িতে আরো বেশ কিছু খেজুরের চারা লাগিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat