এএসএম হারুন
কুমিল্লায় লাঞ্ছনার শিকার হওয়া মুক্তিযোদ্ধা কানু।
ওই ঘটনার ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সেদিন রাতেই ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এমনকি সোমবার খোদ প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওেয়া হয়।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে লাঞ্ছিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু নিরাপত্তাহীনতার কারণে এবার এলাকা ছেড়েছে আশ্রয় ও চিকিৎসা নিচ্ছেন ফেনীতে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলেই তিনি কুমিল্লা থেকে ফেনীতে চলে যান বলে জানিয়েছে তার পরিবার। তবে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনানুগ কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
ফেনী শহরতলীর আলকেমী হাসপাতাল এলাকায় এক নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে অবস্থান করছেন তিনি। পুলিশ ও প্রশাসন নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে চৌদ্দগ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরে আসার ইচ্ছেও রয়েছে তার। বর্তমানে ফেনী সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বলে তার নিকট আত্মীয়রা নিশ্চিত করেছে।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা কানু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যারা আমাকে হেনস্থা করেছে তারা সকলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের ক্যাডার। তারা আমার সারা শরীরে পা দিয়ে আঘাত করে, কিল ঘুষি, লাথি মারে। তারা কানুকে হত্যা করে বিবস্ত্র করে ছবি তোলার চেষ্টাও করেছিল বলে দাবি করেন তিনি।
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আমার মত একজন মুক্তিযোদ্ধা কে লাঞ্চনা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তারা আমাকে যে নির্যাতন করেছে এতে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার কোন উপায় নাই। আমি এই অপমানের বিচার চাই।
আবদুল হাই কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এ ছাড়া একই সংগঠনের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার সাবেক সহসভাপতি। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, লাঞ্ছনাকারীরা স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী।
তবে শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। তাঁদের ভাষ্যমতে, যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের কেউই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী নন।
তবে এখন দুই সমর্থককে বহিষ্কার করার কথা জানাল জামায়াতে ইসলামী।
এ জাতীয় আরো খবর..