স্বাধীনবাংলা, বরিশাল
প্রতিনিধি :
সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর
পানি বেড়ে যাওয়ায় ঝালকাঠির ৫০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বসতঘর ও বিভিন্ন স্থাপনায়। শহর ও
গ্রামের রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় পানি ভেঙে যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বসতঘরে পানি প্রবেশ করায় জেলার নদী তীরের বাসিন্দারা উঁচুস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। পানিতে তলিয়ে গেছে পানের বরজ, মাছের ঘের, ছোট বড় অসংখ্য পুকুর
ও আমনের বীজতলা। ঘের ও পুকুর থেকে
ভেসে গেছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় কাঁঠালিয়ার আমুয়া ও নলছিটির ষাইটপাকিয়া
ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যান চলাচলে বিঘ্নিত সৃষ্টি হচ্ছে।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, স্বাভাবিকের চেয়ে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে চার-পাঁচ ফুট পানি বেড়েছে। বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর
দিয়ে এসব নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপশি টানা বৃষ্টিতে পানি জমে দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। নদীর পানি শহর ও নিন্মাঞ্চলের অন্তত
৫০টি গ্রামে ঢুকে পড়েছে। শহর রক্ষা বাঁধ অতিক্রম করে কলেজ খেয়াঘাট, পৌরসভা খেয়াঘাট, লঞ্চঘাট, কলাবাগান, নতুনচর, কিস্তাকাঠি, সাচিলাপুর ও দিয়াকুল এলাকার
বাসিন্দাদের ঘরে
পানি ঢুকে পড়েছে। বিষখালী নদীর ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে পড়েছে কাঁঠালিয়া ও রাজাপুর উপজেলার
নদী তীরের গ্রামগুলোতে।
এছাড়াও নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানিতে তলিয়ে গেছে বসতঘর, ফসলের ক্ষেত ও মাছের ঘের। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, মৎস্যজীবীসহ সাধারণ মানুষ। কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনির জানান,
বিষখালী নদীর পানি বেড়ে তীব্র স্রোতে গ্রামের সংযোগ অনেক রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আমুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার রাস্তাটি ভেঙে গিয়ে রোগীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে ভাঙা বেরিবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদের মৎস্য, পরিসংখ্যান, যুব উন্নয়ন, সমবায়, আনসার বিডিপি, পল্লীসঞ্চয় ব্যাংক ও ডরমেটরি ভবনগুলো
কক্ষ তলিয়ে গেছে। অসংখ্য মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুম্পা সিকদার জানান, মানুষের বসতঘর, ফসলের ক্ষেত ও মাছের ঘেরে
পানি ঢুকে পড়েছে। পানিতে আমনের বীজতলা নিমজ্জিত থাকায় কৃষকদের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।