×
সদ্য প্রাপ্ত:
গাইবান্ধার কামারজানিতে বালু মহাল ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন সোনারগাঁওয়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আমতলীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমির ধান কর্তণ আদমদীঘিতে সাবেক ইউপি সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু সাদপন্থীদের হামলায় ৪ মুসল্লী নিহতের প্রতিবাদে শেরপুরে তৌহিদি জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ "রাঙ্গাবালীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, ড্রেজার মালিককে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা" মাদকমুক্ত মানিকগঞ্জ দাবিতে মানববন্ধন, ঘিওরে রিসোর্ট বন্ধের দাবি কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা “নওগাঁ আত্রাইয়ে তালাবদ্ধ ঘরে লক্ষ টাকার আসবাবপত্র পুড়ে ছাই” বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে সিজারিয়ান অপারেশন
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১২-১১
  • ৫২ বার পঠিত
জাহিদ খান(কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি) 

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় ইট ভাটা গুলোর কারনে নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা। এই ইটভাটার জন্য মাটি সরবরাহে অবৈধ ট্রাক্টরের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় কৃষি জমি থেকে মাটি সংগ্রহের ফলে জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে এবং জমির শ্রেণী পরিবর্তিত হয়ে পড়ছে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ট্রাক্টর মালিকরা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত মাটি পরিবহন করে থাকে। মাটি সংগ্রহের জন্য ফসলি জমি, পুকুর, কিংবা নদীর পাড় বেছে নেওয়া হয়। বিশেষ করে চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে জমির মাটি কিনে তা ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

দিনের বেলায় ও গ্রামের ভিতর দিয়ে অবাধে ট্রাক্টর গুলো মাটি বোঝাই করে ছুটে চলছে।প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স বিহীন কিশোরদের দ্বারা চলে এই ট্রাক্টর গুলো।ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা।গরু,ছাগল,হাস মুরগী কোনো কিছুই রক্ষা পাচ্ছে না,এই দূর্ঘটনার কবল থেকে।

এছাড়াও জমি থেকে উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়া হলে তা চাষাবাদের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। এতে কৃষকদের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয়। ফসলি জমি থেকে মাটি সরিয়ে নিলে তা পরে আর কৃষি কাজে ব্যবহারের উপযোগী থাকে না, ফলে অনেক জমি অনুর্বর হয়ে পড়ে।

নদীর পাড় বা পুকুর থেকে মাটি সংগ্রহের ফলে নদী ভাঙন ও জলাশয়ের ধরনেও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে।

সরকারি বিধি অনুযায়ী, ইটভাটায় মাটি সরবরাহের জন্য নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। তবে অবৈধভাবে ট্রাক্টর ব্যবহারকারীরা এসব আইন লঙ্ঘন করছে। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো না হলে এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করবে।

সমাধান ও সুপারিশ সম্পর্কে পরিবেশবিদ গণের সাথে কথা বললে তারা যে পরামর্শ প্রদান করেন-
১. অবৈধ ট্রাক্টর চলাচল বন্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ।
২. কৃষকদের মাটি বিক্রিতে নিরুৎসাহিত করা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি।
৩. জমির শ্রেণী পরিবর্তন রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ।
৪. বিকল্প নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া।

পরিবেশ ও কৃষির ভারসাম্য রক্ষায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। অবৈধ ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ভবিষ্যতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে বলেও অভিজ্ঞজন জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat