গত কয়েক দিনের তুলনায় ৫ ডিসেম্বর থেকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে পুরাতন কাপড়ের দোকানে দোকানে উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।
শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে উষ্ণ গরম কাপড় কেনার ভিড় পড়েছে মার্কেটগুলোতে।অপরদিকে তিস্তার চরের নিম্ন আয়ের মানুষের ভিড় সবচেয়ে বেশি পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে।
লক্ষ্য করা গেছে,জেলার বিভিন্ন রেলস্টেশন ও হাট বাজারের অলিতে গলিতে পুরাতন কাপড়ের শতশত অস্থায়ী দোকান বসেছে সব দোকানেই কেনাকাটার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার রেল স্টেশনের অস্থায়ী বহু কাপড়ের দোকানে বিকেল ভিড় করে মানুষ পুরাতন গরম কাপড় কিনছেন।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাতের এসব দোকানে বয়স্কদের সোয়েটার, কোট, ব্লেজার, মাফলারসহ ছোটদের বিভিন্ন সাইজের শীতের পোশাকের আধিক্য বেশি। হকাররা অনেকে হাঁকডাক করে এসব কাপড় বিক্রি করছেন।
তুষভান্ডার হকার্স মার্কেটে ফুটপাতে মেয়েদের সোয়েটার মানভেদে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, ছোটদের বিভিন্ন পোশাক ৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাফলার ৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং গরম টুপি ৫০ থেকে ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সাইজের কম্বল ২০০-৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
তুষভান্ডার অস্থায়ী হকার্স মার্কেটের ফুটপাতের ভাসমান দোকানিরা জানান, কিছুদিন শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসলেও তেমন বিক্রি হয়নি। এখন দুই দিন থেকে শীত প্রকোপ বাড়ায় ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। ফুটপাতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে শিশুদের শীতের পোশাক। এছাড়া জ্যাকেট, সোয়েটার ছড়া ও বিভিন্ন ধরনের কম্বল কিনছেন ক্রেতারা।
তবে তুষভান্ডার বাজার ফুটপাতে শীতের পোশাক কিনতে আসা গৃহিণী মরিয়ম আক্তার বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ভোরে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। তাই বাচ্চাদের জন্য শীতের পোশাক কিনছি। তবে মান অনুযায়ী দাম কিছুটা বেশি।
এদিকে ডিসেম্বরের শেষে শীত আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে বেশি শীত অনুভুত হয় । যত দিন গড়াবে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমবে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে শীত বেশি অনুভূত হতে পারে।