×
সদ্য প্রাপ্ত:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা ও পরিচিতি সভা সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ভাঙচুর ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনার প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত ভোলায় দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ বাবা - ছেলে আটক তারেক রহমান কথা দিলে কি কথা রাখেন ? আইনজীবী সাইফুল হত্যা: চন্দন দাসসহ ১০ জন গ্রেফতার সাংবাদিকদের ক্যামেরা নিয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া ইউএনওকে বদলি দেড় বছরেও শেষ হয়নি সড়কের কাজ।শুরুতেই অর্ধেক টাকা উত্তোলন বাউফলে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার-১ শরনখোলায় রূপান্তরের বাস্তবায়নে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে স্কেলিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত লামা সাংবাদিক ফোরাম'র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১২-০৪
  • ৪৩ বার পঠিত

পৌরসভা ব্যর্থ পানি সাপ্লাইয়ে, সাবমারসিবল পাম্প স্থাপনে অনুমতি নিতে কোটি কোটি টাকা অর্থ ব্যয় হুমকির মুখে সাধারণ মানুষ।


রোকন বিশ্বাস-হৃদয় হোসেন(সদর)পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনার সদর উপজেলার পৌরসভার মধ্যে সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে বাসাবাড়ীতে পানি উত্তোলন করা হয়।পৌরসভার সাপ্লাইয়ের পানির ব্যবস্থা থাকলেও পৌর নাগরিকেরা তেমন কোন সুফল না পাওয়াতে পৌরসভা থেকে সাপ্লাইয়ের পানির লাইন বাতিল করে নিজের জীবনকে রক্ষায় নতুন ভাবে সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে নিজের বাড়ীতে পানি উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয়।এতে পৌর নাগরিক ৪৫ ভাগই সাবমারসিবল পাম্প ব্যবহার করছে এতে মানুষের পানির দুর্ভোগ ৫৫ ভাগ নিশ্চিত হয়েছে।সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে পৌর মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান ২৮ শে নভেম্বর ২০২২ সালে সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলন কোন পৌর নাগরিক করে তাহলে পৌরসভা থেকে অনুমতি নিয়ে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে করতে হবে এমন কথা উপস্থাপনা করলে সেইটা জনগনের তোপের মুখে পরে বহাল রাখে।৫ই আগষ্টে সরকার পতনের পর পৌর মেয়রের অবসান হলে  স্থানীয় সরকার(পৌরসভা সংশোধন)অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ৪২(ক)৩ অনুযায়ী কাউন্সিলর এর ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) এবং উপপরিচালক (ভার:)স্থানীয় সরকার শরিফ আহম্মেদসহ মোট আট সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।সাবমারসিবল পাম্প বসানোর সময় পৌরসভার অনুমতি নিতে হবে এমন ঘোষণা দিয়ে মাইকি প্রচার প্রচারণা  দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা।এই প্রচার প্রচারণায় জনগনের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এবং সরকারি কর্মকর্তারা কোন আইনি প্রক্রিয়ায় এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।পৌর নাগরিকদের যে সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে টাকা নেয় সেই সকল সুযোগ সুবিধা তো দেয়ই না উল্টো আবারো মনগড়া নিয়ম করে জনগনের টাকা নিজ পকেটে তোলার এরো একটি পাতানো ফাঁদ বানাচ্ছে।পৌরসভার মধ্যে পানি নিষ্কাশনের জন্য যে সকল ড্রেন করা হয়েছে সেই ড্রেন দিয়ে পানি তো নামেই না আবার বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভরে গিয়েছে মনের ভূলেও কখনো খোঁজ নেয় না কিন্তু টাকা ঠিকই দিতে হয়,আরো ল্যাম্প লাইটসহ অন্যান্য কথাতো বলিই না।কোন প্রকার আমরা সুযোগ সুবিধা পাই না অনর্থক পৌরসভাকে টাকা দিতে হয়।এই টাকা গুলো না দিলে অনর্থকভাবে পুলিশ দিয়ে আইনি পদক্ষেপ নিবে মাইক দিয়ে প্রচার দেয় এতে আমরা যারা সাধারণ জনগন প্রচন্ড হুমকির মুখে পরে যাই।এটাকে বলবো সব সময়ই চাপ সৃষ্টি করে আর নিরবে চাঁদাবাজি করা হয় এবং আমাদের উপরে চরম অত্যাচার বলে মনে করছি এমন মন্তব্য করেন পৌর নাগরিকেরা।

সুশীল সমাজের মানুষেরা বলেন,বিগত দিনে স্বৈরাচারী শাসকের নেতাকর্মীদের কারণে কোন কথা বলতে পারি নাই,এখন আবার জনগনের উপরে সরকারি কর্মকর্তারা চাপ দিচ্ছে এতে জনগন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?

পৌর ব্যবসায়ীরা বলেন,আমরা পৌরসভার মধ্যে ব্যবসা বানিজ্য করি সুনামধন্য এই পাবনার শহরে দীর্ঘদিন ধরে।আমরা সুযোগ সুবিধা কখনোই পাই না।সকালে এসে দোকানপাট খুলি ড্রেনের পাশ দিয়ে হাঁটা যায় না গন্ধে।বৃষ্টির সময়ে ড্রেন দিয়ে পানি নামে না রাস্তা তলিয়ে যায়।ড্রেনকে মেরামত করাও হয় না ঠিকমত,অনেক জায়গাতে ড্রেন ভেঙ্গে গিয়েছে বাসাবাড়ীর পানি ড্রেন দিয়ে যায় না ময়লা আবর্জনায় ভরে যাওয়ার কারণে রাস্তা দিয়ে পানি উঠে যায় এদিকে পৌরসভার নজর নেই।ঠিকমত ল্যাম্পপোস্ট জ্বলে না,অবৈধভাবে সিএনজি ষ্ট্যান্ডসহ রাস্তা জুঁড়ে অবৈধ স্থাপনা করেছে এই গুলোর উচ্ছেদ অভিযান করলেও দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই আবারো যা সেটাই হয়ে যায়।এর কোন সুরাহা নেই পৌরসভার কাছে।আপনি একটু হিসাব করেন এই পাবনা পৌর অঞ্চলে প্রায় দুই লক্ষের বেশি সাবমারসিবল পাম্প বাসাবাড়িতে বসানো আছে।এদের কাছ থেকে যদি বারো হাজার সাতশত টাকা নেওয়া হয় তাহলে কত টাকা নিচ্ছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।এদিকে হিসাব করে দেখা যায় শুধু পৌরসভার কাছ থেকে দুই লক্ষ সাবমারসিবল পাম্প বসানোর জন্য অনুমতি ফরম পূরণ করলে টাকার সংখ্যা এসে দাঁড়ায় দুইশত চুয়ান্ন কোটি টাকা,পৌরসভায় কোন খরচ নাই।তাহলে এই টাকার কাজ কি এটাও জানতে চাই আমরা?বিভিন্নভাবে ক্ষোভ ঝাড়ে পৌরসভার কর্তৃপক্ষের উপরে।ফলেতে আমরা পৌর নাগরিকেরা কি পাচ্ছি?এটা জোড় করে বলতে পারি আমাদের কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না শুধু টাকাই নেওয়া হচ্ছে আমাদের কাছ থেকে।এটা আমরা মনে করি আগে স্বৈরাচার সরকার এর নেতাকর্মীরা খেয়েছে এখন খেতে চাচ্ছে তাদের মতই প্রক্রিয়া করে তাদেরই দোসর হয়ে জনগনের রক্তকে চুষে খেয়ে নিজ স্বার্থ উদ্ধারের এমন পায়তারা করছে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।এইটা কখনোই আমরা বাস্তবায়ন করতে দেবো না প্রয়োজন এ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবো।এই পানি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বর্তমান সময়ে পৌরসভা থেকে সাবমারসিবল দিয়ে পানি উত্তোলনের জন্য পৌরসভায় আট সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে অনিয়ম কার্যক্রম করার পায়তারা করছে।

এদিকে সহকারী প্রকৌশলী ওবায়েদ-উল- হক জানান,আমাদের যে পানি সরবরাহ সংক্রান্ত সাবমারসিবল অনুমোদনের বিষয়ে স্থানীয় সরকারের আইনে ২০০৯ এর ১১ এর ১ এবং ২ ধারাতে বলা আছে পানি সরবরাহের ব্যক্তিগত উৎস পৌরসভার অভ্যন্তরীণ সকল বেসরকারি পানি সরবরাহ উৎস পৌরসভার নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শনাধীন থাকবে।দুই এ বলা আছে পৌরসভার অনুমতি ব্যতিত পানি ও জলের জন্য  কোন নতুন কূপ খনন,নলকূপ স্থাপন অথবা পানি সরবরাহের জন্য অন্য কোন স্থাপন করা যাবে না।তিনি আরো জানান,এটা আইনি প্রক্রিয়া থাকলেও কোন প্রকার প্রজ্ঞাপন নেই সরকারিভাবে,এইটা সম্পূর্ণ পৌরসভার ব্যাপার।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) এবং উপপরিচালক (ভার:), স্থানীয় সরকার শরিফ আহম্মেদ সাংবাদিক রোকন বিশ্বাসের ব্যক্তিগত হোয়াটস অ্যাপে আইনি বিধি দেন সেই আইনি বিধিমালা গুলো হলো,পানি সরবরাহের ব্যক্তিগত উৎস,পৌরসভার অভ্যন্তরে সকল বেসরকারি পানি সরবরাহের উৎস পৌরসভার নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শনাধীন থাকবে।পৌরসভার অনুমোদন ব্যতীত পানীয় জলের জন্য কোন নূতন কূপ খনন, নলকূপ স্থাপন অথবা পানি সরবরাহের জন্য অন্য কোন উৎসের ব্যবস্থা করা যাইবে না।পানি নিষ্কাশনে পৌরসভা নিয়ন্ত্রণাধীন তহবিলের সীমাবদ্ধতার মধ্যে পৌরসভায় পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন নর্দমার ব্যবস্থা করিবে এবং জনসাধারণের স্বাস্থ্য ও সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া নর্দমাগুলি নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণ করিবে এবং পরিষ্কার রাখবে।পৌরসভার অনুমোদনক্রমে তৎকতৃর্ক নির্ধারিত শর্তে এবং ফিস প্রদান সাপেক্ষে, কোন বাড়ি বা জায়গার মালিক তাহার নর্দমা পৌরসভার নর্দমার সহিত সংযুক্ত করিতে পারিবে।পৌরসভায় অবস্থিত সকল বেসরকারি নর্দমা পৌরসভার নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শনাধীনে থাকিবে এবং পৌরসভা প্রবিধান অনুযায়ী ইহার সংস্কার করিবার এবং বন্ধ রাখিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।পানি নিষ্কাশন প্রকল্প পৌরসভা স্বীয় উদ্যোগে অথবা সরকার কর্তৃক নির্দেশিত হইয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে পানি, ময়লা-আবর্জনা নিষ্কাশন প্রকল্প সরকারি এবং বেসরকারি তহবিল দ্বারা বাস্তবায়ন করিতে পারিবে।
(২) দফা (১) এর আওতায় নিষ্কাশন প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করিতে হইবে এবং কর্তৃপক্ষ তাহা বিবেচনার পর ইহাতে, সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতীত, সেইটা অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।অনুমোদিত প্রকল্প নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পৌরসভা কর্তৃক বাস্তবায়িত হইবে।

পৌরসভায় অবস্থিত কোন বাড়িঘর বা জায়গার মালিককে পৌরসভা নোটিশ দ্বারা-(ক) উক্ত বাড়িঘর বা জায়গায় বা তৎসংলগ্ন রাস্তায় নোটিশে উল্লিখিত নর্দমা নির্মাণ করা,(খ) অনুরূপ যে কোন নর্দমা অপসারণ, সংস্কার বা ইহার উন্নয়ন করা, এবং(গ) উক্ত বাড়িঘর বা জায়গা হইতে সুষ্ঠুভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য অন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিতে পারে।

পৌর বাসিন্দাদের মনে প্রশ্ন উঠেছে,আমাদের পৌর সেবা থেকে বঞ্চিত করে নিজেদের অর্থের খাতকে বৃদ্ধি করে জনগনকে চাপ দিচ্ছে বলে মনে করি।পৌর বাসিন্দারা আরো বলেন,পৌরসভার কাজ জনগনের সাথে সম্পৃক্ত যেটা করলে জনগন উপকার পাবে ঠিক সেইটা না হয়ে হিতে বিপরীতমুখী করছে,এমন সমালোচনা এখন সব জায়গাতেই হচ্ছে।

পাবনার বিশিষ্টজন মুকুল বিশ্বাস বলেন,ভূমির মালিক আমি,ভূগর্ভস্থ ব্যবহার আমার জন্য কিন্তু পৌরসভা আমাদের উপরে এই ট্যাক্স চাপিয়ে দিচ্ছে যার জন্য আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।এটা আমি সর্বোচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,বিষয়টি জেনে আমাদের অসুবিধা দূর করার জন্য।

পাবনা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভূগর্ভস্থ  মালিকানাধীন ভূমির মালিকের ভূপরিস্থ পানির সকল অধিকার উক্ত ভূমির মালিকের থাকবে এবং তিনি এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে ব্যবহার করতে পারবে অর্থাৎ আমি আমার বাসাবাড়ির মধ্যে সাবমারসিবল পাম্প করি সেই অধিকারটা আমার এতে পৌরসভা যে বিধিবিধান করছে এটা তাদের নিজের স্বার্থে এটা আইনের পরিপন্থি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat