মোঃ রাফসান জানি, ভোলা
ভোলা সদর উপজেলা ও পৌরসভাসহ সকল সড়ক গুলোর বেহাল দশা।খানাখন্দে ভরা জরাজীর্ণ সড়ক গুলো, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তারপরেও বেহাল এই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন, এতে দুর্ঘটনায় বাড়ছে প্রাণহানি। ভোলা সদর উপজেলাটি ১৩ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় কয়েক বছর ধরে এসব রাস্তার কোন সংস্কার হয়নি, তাই গ্রামের মানুষ শহরে যাওয়ার জন্য পায়ে হেঁটে কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে যানবাহন না পাওয়ায়। দেখলে মনে হবে ৯০ কিংবা ৮০ দশকের মানুষ হেটে যাচ্ছে, ৯০ কিংবা আশির দশকের মানুষ যানবাহন না থাকায় কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে পাড়ি দিতেন গন্তব্য স্থানে যাওয়ার জন্য।২০২৪ সালে এসেও পায়ে হেঁটে পাড়ি দিচ্ছেন তারা এত আধুনিক হওয়ার পরেও কোন আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাননি তারা দীর্ঘদিন সড়ক সংস্কার না হওয়ায়। ৯০ বা আশির দশকের রাস্তাগুলো ছিল মাটির তৈরি ২০২৪ সালের রাস্তায় গুলো ইটের কণার তৈরি তাই কোন যানবাহন পাওয়া যায় না বাধ্য হয়েই পায়ে হেঁটে পাড়ি দিচ্ছে গ্রামবাসী।ব্যবসা-বাণিজ্যের ও আমদানি- রপ্তানির পণ্য পরিবহনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বাস, ট্রাক, রিক্সা সহ বিভিন্ন পরিবহন। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে চালক ও যাত্রীরা।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে আবার উঠে গেছে রোড কার্পেটিং এতে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কগুলো। ভুক্তভোগী আজিজুল ইসলাম জানান, আমার মেয়ের ডেলিভারির জন্য হাসপাতালে নেব কোন প্রকার গাড়ি পাচ্ছিনা অনেক কষ্ট করে ডাবল ভাড়া দিয়ে একটি রিক্সা নিয়েছি, কিন্তু রাস্তার এরকম বেহাল দশায় আমার মেয়ে অনেক কষ্ট পেয়েছে তাই আমি সরকারের কাছে আবেদন করব যেন ভোলার রাস্তা গুলো দ্রুত সংস্কার করা হয়।
আরো এক ভুক্তভোগী তুহিন জানান, হাসপাতাল কিংবা জরুরী কোন কাজে আমরা বাড়ি থেকে বের হলে কোন গাড়ি বা রিক্সা পাইনা তাই বাধ্য হয়ে আদিম যুগের মানুষের মতো পায়ে হেঁটে পাড়ি দেই এতে আমাদের সময়সহ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হই।আলিনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বলেন, এ ১৭ বছরে রাস্তার কোন সংস্কার হয়নি, চরম দুর্ভোগে রয়েছে ভোলার মানুষ।আওয়ামী লীগ এর আমলের সরকার খালি বলেছেন উন্নয়ন আর উন্নয়ন, আমার ইউনিয়নের মানুষ এই উন্নয়ন চোখে দেখেননি,তাহলে এত উন্নয়ন গেল কোথায়। আমি এল জি ই ডি'র কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছি, রোড নাম্বার দিয়েছি তারা বলেছে সংস্কার করে দেবে।
এ বিষয়ে এল জি ই ডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী ইব্রাহিম খলিল জানান, ভোলা জেলা ভিত্তিক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা মতো সেটা আমরা হাতে পেলে সংস্কার কাজগুলো দ্রুত করতে পারবো।
এ জাতীয় আরো খবর..