আগামী বছরের শুরুতে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। কিন্তু পাকিস্তানে গিয়ে এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চায় না ভারতীয় দল। যার ফলে পিসিবিকে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দিয়েছে বিসিসিআই। কিন্তু এই টুর্নামেন্ট এককভাবে আয়োজন করতে চায় পিসিবি। দুই পক্ষের দরকষাকষিতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভবিষ্যৎ।
এর মধ্যেই পাকিস্তান ও ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ইস্যুতে সুর কিছুটা নরম করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। শর্ত সাপেক্ষে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে রাজি হয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি।
গত ৩০ নভেম্বর পাকিস্তান অবজার্ভারের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দুটি শর্ত পূরণ হলেই হাইব্রিড মডেলে খেলা আয়োজন করবে পিসিবি। প্রথমটি হলো- পিসিবিতে আইসিসির প্রদেয় রাজস্বের হার বাড়াতে হবে।
আর দ্বিতীয়টি হলো ভারত যদি এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে না আসে, তাহলে ২০৩১ সাল পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্টগুলোতে অংশ নিতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান। কিন্তু দুই দেশের শর্তের লড়াইয়ের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার শোয়েব আখতার।
হাইব্রিড মডেল চুক্তিতে আগেই সই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এই কিংবদন্তি পেসার। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এমন মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকেশোয়েব আখতারকে। তবে এককভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে পিসিবির দাবিকে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শোয়েব বলেন, আপনি আয়োজকস্বত্ব ও রাজস্বের জন্য অর্থ পাচ্ছেন। এটি ঠিক আছে, আমরা সবাই এটি বুঝতে পারি। পাকিস্তানের অবস্থানও যুক্তিসঙ্গত। তাদের একটি শক্তিশালী অবস্থান বজায় রাখা উচিত ছিল, কেন উচিত হবে না? একবার যদি আমরা আমাদের দেশে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে সক্ষম হই এবং তারা (ভারত) আসতে ইচ্ছুক না হয়, তাদের উচিত আমাদেরকে উচ্চ হারে রাজস্বের ভাগ দেওয়া। এটাই ভালো সিদ্ধান্ত।
আইসিসির বর্তমান রাজস্ব কাঠামো অনুসারে ৩৭ শতাংশেরও বেশি রাজস্ব পায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। অন্যদিকে পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৫ শতাংশের কিছু বেশি। মূলত, এ ব্যবধান কমানোর দাবিই করেছে পিসিবি।
তবে পিসিবির দ্বিতীয় শর্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন শোয়েব। তিনি মনে করেন, বন্ধুত্ব বাড়াতে অবশ্যই পাকিস্তানের উচিত হবে ভারতে খেলতে যাওয়া। তবে জবাব হতে অন্য কৌশলে। ভারতকে তাদের মাটিতে গিয়ে হারিয়ে আসতে হবে পাকিস্তানের।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎতে ভারতে খেলার ক্ষেত্রে আমাদের বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে সেখানে যাওয়া উচিত। বরাবরই আমার বিশ্বাস, ভারতে গিয়ে তাদের পরাজিত কর। ভারতে খেলুন ও তাদের ঘরের মাটিতে পরাজিত করুন।
এ জাতীয় আরো খবর..