আমাদের বিনা সুদে ঋণ দিবে বইলা ঢাকায় নিয়া গেছে। আমরা তো জানি না ঐ খানে আন্দোলন হইবো। ঢাকায় যাওয়ার পরই দেখি মারামারি হইতাছে। আমাগো বাসে ওইঠা কয়েক জনকে লাঠি দিয়া বারিও দিয়েছে । টাকা তো বড় কথা না বাঁইচা বাড়ি আসতে পারছি এতই শুকরিয়া জানাই’ এ কথা বলছিলেন প্রতারণার শিকার রোকসানা আক্তার।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার জরিনা কলেজ এলাকায় দবির হোসেনের বাড়ির সামনে থেকে তাদের নিয়ে আসে।রোকসানা আক্তার জানান, বিনা সুদে ঋণ পাওয়ার আশায় শাহবাগে গিয়েছিলেন। তাকে দবির বিনা সুদে ঋণের লোভ দেখিয়ে ঢাকার শাহবাগে পাঠিয়েছিলো। শুধু রোকসানাকেই নয় দবির হোসেন ও তার স্ত্রী চামিলী আক্তার এবং হাসিনা আক্তার মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০০ জন সহজ সরল লোককে একই লোভে শাহাবাগে পাঠায়। এই অভিযোগে দবির, চামিলী ও জহুরাকে পুলিশ আটক করে।
স্থানিয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিনা সুদে লাখ টাকা থেকে কোটি টাকার ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানিকগঞ্জ থেকে সকাল ৬টার দিকে ৬টি বাসের মাধ্যমে তাদেরকে শাহাবাগে পাঠানো হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বাস ভাড়া বাবদ ২৫০ টাকা করে নেওয়া হয়ে বলেও জানা গেছে। পরে শাহাবাগের পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে তারা ওই গাড়িতেই ফিরে আসে। এর পরে দবির হোসেনের বাড়ি ঘেরাও করে সাধারণ মানুষ। পুলিশ ও সেনাবাহিনী মেজর মিনহাজ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে অভিযোক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ এস আই মো: বাবলু মিয়া । বিক্ষুব্ধ জনগণ তাদের শাস্তির দাবি করেন।
ভুক্তভোগী হেলেনা বেগম জানান, সুদমুক্ত টাকা দেবে বলে দবির, হাসিনা ও চামিলী আমাদেরকে ঢাকা পাঠায়। ঋণ নেওয়ার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আইডি কাট দবিরের অফিসে দিয়ে যাই। এসময় আমাদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে নেয় তারা। তিনি জানান, আমরা প্রায় ৩০০ জন ৬টি বাসে শাহাবাগে গিয়েছিলাম।
আরও কয়েক জন ভুক্ত ভোগীরা জানান, আমরা শাহবাগে নামার পর লোকজন আমাদের মারধর করে। পুলিশ আমাদের গাড়িগুলো ফিরিয়ে দেয়। পরে আমরা চলে আসি।
এ জাতীয় আরো খবর..