বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আন্দোলনকারী নারী শিক্ষার্থীদের মারধর, শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শসহ ধর্ষণের হুমকির নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ ২৬৫ জন আসামি করে মামলা দায়ের করেন এক ব্যবসায়ী।
৪ নভেম্বর সোমবার রাতে নগরের সদরঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করেন মোমেন হোসেন জয়। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে রয়েছে তার বিশেষ অবদান। আন্দোলনে তার কর্মীদের উপর করা নির্যাতনের বিচার চেয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমিজ আহমদ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১০টা পর্যন্ত নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় এ মামলার বাদি মোমেন হোসেন জয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন। আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী-আসামিরা সিটি কলেজের সামনে থেকে ইসলামিয়া কলেজ মোড়সহ আশপাশের অলিগলি থেকে তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি, ইট-পাথর, লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ সজ্জিত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এ সময় আসামিদের হাতে থাকা, অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, হকস্টিক দ্বারা এলোপাতাড়ি বেধড়ক মারধর শুরু করে এবং গুলিবর্ষণ, ককটেল ও বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।
এছাড়া আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষার্থীদের মারধর করে অশ্লীল গালিগালজ এবং অসহায় অবস্থায় পেয়ে দৃষ্টিকটু অশ্লীল ইঙ্গিত করে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষার্থীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে হেনস্থা করে। সেইসঙ্গে তাদের গণধর্ষণেরও হুমকি দেন অভিযুক্তরা।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা, সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, আবদুচ ছালাম, মুজিবর রহমান, মহিউদ্দিন বাচ্চু ও আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।