মোঃ মোরসালিন গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে দেশের তিন ভিন্ন স্থানে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের তিনজন নিহত হয়েছেন, যা এলাকাবাসীর মধ্যে শোক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত বিচার দাবি করেছেন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
প্রথম ঘটনা ঘটে গাজীপুরের শ্রীপুরে। দৌলতপুর গ্রামের সুনিল পালের মেয়ে স্মৃতি রানী পাল (২৬) ২৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে নিহত হন। তার স্বামী কাব্য সরকারের সঙ্গে প্রায় আড়াই বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল। ওই রাতে স্মৃতির সঙ্গে তার বাবার শেষ কথা হয়, যেখানে স্মৃতি জানান, তার স্বামী ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কিছুক্ষণ পর কাব্য ফোন করে জানায়, স্মৃতির অবস্থা খারাপ। হাসপাতালে গিয়ে স্মৃতির গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান তার বাবা। পুলিশ বাড়ির পেছন থেকে রক্তমাখা ধারালো দা ও দুটি স্যান্ডেল উদ্ধার করে এবং এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে মামলাটি নেওয়ার দাবিতে গৌরীপুরবাসী মানববন্ধন করেছেন।
দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে ১৯ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। মইলাকান্দা ইউনিয়নের কাউরাট চকবাড়ির আবুল হাসিম (৬৫), যিনি চৌদ্দগ্রামের রবি অজিয়াটা টাওয়ারে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন, তাকে ভোররাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার হাত, পা, ও মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল এবং নাক থেতলানো ছিল। চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আক্তারুজ্জামান জানান, হত্যার পর নিহতের ছেলে মনোয়ার হাসিব মামুন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে এবং অপরাধীদের ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তৃতীয় ঘটনা ঘটে ঢাকার খিলগাঁওয়ে। ১৬ অক্টোবর রাতে খিলগাঁও থানার পুলিশ পশ্চিম দাপুনিয়া মহল্লার শহিদ মিয়ার মেয়ে শাহিদা আক্তারের (১৪) লাশ উদ্ধার করে। শাহিদা খিলগাঁওয়ের একটি বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছিল। তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে শাহিদার নানা জুবেদ আলী মামলা করেন। পুলিশ গৃহকর্তা নুরুল হায়দার রাকিব ও তার স্ত্রী নাদিরা নাজনীন সেতুকে গ্রেফতার করেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..