নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হেলথ কেয়ার মেডিকেল সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশন করার পর প্রসূতি মায়ের দুই কিডনি বিকল হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় ২৫/০৩/২০২৪ ইং তারিখে ঘিওর উপজেলার নালি ইউনিয়ন থেকে আসা প্রসূতি মা কুলসুম আক্তার, c/o: সাগর মিয়া, গ্রাম নালি, থানা ঘিওর, জেলা:মানিকগঞ্জ, বাচ্চা প্রসবের জন্য, মানিকগঞ্জ সদরের হেলথ কেয়ার মেডিকেল সেন্টারে আসলে, কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই শুধুমাত্র একটি আলট্রাসনোগ্রাফির ওপর ভিত্তি করে সিজারিয়ান অপারেশন করে বাচ্চা প্রসব করালে,প্রসূতি মায়ের অবস্থা আশংকা জনক হলে, দ্রুত অন্য হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করার কথা বলেন। রোগীর লোকজন রোগীকে বাঁচাতে নিরুপায় হয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানা যায়, রোগীকে অপারেশনের পূর্বে কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া প্রসূতি মায়ের অপারেশন করে বাচ্চা প্রসব করানোর ফলে প্রসূতি মায়ের দুইটি কিডনি বিকল হয়ে গেছে। পরবর্তীতে কিডনি ডায়ালাইসিস দিয়েও রোগীর উন্নতি না হলে, প্রসূতি মাকে বাঁচাতে প্রাইভেট জাপান বাংলাদেশ কিডনি হাসপাতালে নিয়ে যান।কিন্তু কয়েকদিন জাপান বাংলাদেশ কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর, রোগীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিপদজনক অবস্থায় পৌঁছালে, পুনরায় প্রসূতি মাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রসূতি মায়ের জিবন বাঁচাতে কিডনি ডায়ালাইসিস চলমান থাকলেও,প্রসূতি মা মৃত্যু শয্যায় আছেন, চিকিৎসার তেমন কোন উন্নতি না হওয়ায় যে কোন সময় প্রসূতি মায়ের জীবন প্রদীপ নিভে যেতে পারে। যেখানে বিশেষজ্ঞ এনেস্থিসিয়া ডাক্তার দ্বারা অপারেশন করার কথা কিন্তু নন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে এই রোগীর এনেস্টেসিয়া দেওয়া হয়েছে।রাত্রিতে হসপিটালটি ঘুরে দেখা গেছে নেই কোন রেসিডেন্সিয়াল মেডিকেল অফিসার, নেই কোন ডিপ্লোমা নার্স, কিভাবে চলে এরকম হসপিটাল? এ বিষয়ে হেলথ কেয়ার মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক, আব্দুল করিম সুস্পষ্ট বক্তব্য না দিয়ে, ডাঃ মোঃ ওসমান গনি কে ফোন করতে বলেন। তিনি দায়সারা বক্তব্য বলেন টেস্ট করে/ না করে অপারেশন করা সম্পূর্ণ ডাক্তারের এখতিয়ার। ডাক্তার মোঃ ওসমান গনিকে ফোন করে পাওয়া যায় নি। মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ মোয়াজ্জেম খান চৌধুরী বলেন,অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..