বকশীগঞ্জ (জামালপুর প্রতিনিধি)
জামালপুরের বকশীগঞ্জে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে প্রতারিত এক আন্তসত্তা অসহায় এতিম নারী। প্রতারক পরিবারের দাপটের কাছে টিকতে পারছেনা ঐ নারী। দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রতারক সাইফুল ইসলাম সাজন। ঘটনাটি ঘটেছে বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের উজান কলকীহারা গ্রামে।
জানা যায়, বকশীগঞ্জের উজান কলকীহারা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে সাইফুল ইসলাম সাজন একই গ্রামের সোরহার মিয়ার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন সময়ে দৈহিক মেলামেশা করেন। একাধিকবার ঐ ঘটনার পর সর্ব শেষ দৈহিক মেলা মেশা হয় চলতি বছরের ৪ জুলাই। দৈহিক মেলা মেশার এক পর্যায়ে অন্তসত্তা হয়ে পড়ে ঐ নারী। বর্তমানে ধর্ষক সাইফুল ইসলাম সাজনের সন্তান পেটে বহন করছেন তিনি। ঘটনা জানাজানি হলে সাইফুল ইসলাম সাজনকে বিয়ের চাপ দেয় সমাজের লোকজন। কিন্তু সাজন বিয়ের নামে নানা টালবাহনা করতে থাকে। ঐ ঘটনা নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হয়। সালিশে কোন সমাধান না হওয়ায় প্রতারিত নারী ২০২৪ সালের ৮ জুলাই বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বকশীগঞ্জ থানার মামলা নং ১০। ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং/২০) এর ৯(১)। ২০২৪ সালের ১০ জুলাই মেডিকল পরীক্ষার পর আন্তসত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে মেডিকেল বোর্ড। এর পর একই মেডিকেল বোর্ড ২০ আগষ্ট প্রতারক সাইফুল ইসলাম সাজন ও প্রতারিত নারীর ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়। অন্য দিকে অন্তসত্তা নারীকে প্রতারক সাইফুল ইসলাম সাজন ও তার পরিবারের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার চাপ প্রয়োগ করছেন। মামলা তুলে না নেওয়ায় সাইফুল ইসলাম সাজন মামলার বাদীকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। তাই প্রতারক সাজনের হুমকির মুখে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে ঐ নারী।
এব্যাপারে সাইফুল ইসলাম সাজন জানান, ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই অবগত না। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আশা করি আদালত থেকে ন্যায় বিচার পাবো।
অন্তসত্তা নারী জানান, আমি একজন অসহায় এতিম। সাইফুল ইসলাম সাজন যতক্ষন পর্যন্ত আমার পেটের সন্তানকে পিতা হিসেবে স্বীকৃতি না দিবে আমি আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো। তবে আমার পরিবারের আর্র্থিক অবস্থা সূচনীয় থাকায় মামলা পরিচালনায় বিগ্ন ঘটছে।
এব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, মামলার কার্যক্রম চলমান আছে। ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ চুড়ান্ত আইনগত পদক্ষেপ নিবে।
এ জাতীয় আরো খবর..