রানা আহমেদ, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধায় ডিপো ও ডিলার দেওয়ার কথা বলে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সামিউল নামের এক প্রতারক। টাকা উদ্ধারের চাপে ব্যাংক চেক দিলেও একাউন্টে নেই টাকা। এদিকে চেক দিয়ে ব্যাংকে টাকা না পেয়ে সামিউলের সাথে যোগাযোগ করেও দেখা মেলেনি তার। আজ সকালে গাইবান্ধার হকার্স মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর এলাকার মৃত মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলীর ছেলে আবুল হায়াত মিয়া। তিনি বলেন, গাইবান্ধার কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সিটিটিউিট এ লেখাপড়া করার সময় পাশ্ববর্তী উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার মৃত এ.কে.এম রেজাউল করিমের ছেলে এ.কে.এম সামিউল করিমের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। পরে সামিউল দেশের স্বনামধন্য গাজী গ্রুপের খাদ্য সামগ্রী ধরনের পণ্য বেচাকেনার জন্য রংপুর বিভাগীয় ডিপো ও ডিলার দেয়ার কথা বলে আমার কাছে ১৫ লক্ষ টাকা চায়। আমি তার প্রস্তাবে গাজী গ্রুপের ডিপো ও ডিলার পাওয়ার আশায় ১০ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয়ে সামিউলকে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ১ম ধাপে পাঁচ লক্ষ ও ২য় ধাপে ফেব্রুয়ারী মাসে পাঁচ লক্ষ মোট ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করি । এদিকে টাকা নিয়ে সামিউল ডিপোর লাইসেন্স দিতে কালক্ষেপন করলে আমি তার প্রতারণার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে আমার দেয়া ১০ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে সে টাল-বাহানা করতে থাকে। পরে পারিবারিক ভাবে চাপ দিলে গত আগষ্ট মাসের শেষের দিকে আমাকে ডাচবাংলা ব্যাংক এ (এ.কে.এম সামিউল করিম) নামের পাঁচ লক্ষ টাকা করে মোট ১০ লক্ষ টাকার দুটি চেকের পাতা দেয়। আমি চেকের পাতা দুটি নিয়ে ডাচবাংলা ব্যাংক গাইবান্ধা শাখায় গেলে সেখানে কোন টাকা নেই বলে জানান ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ঘটনার পর থেকে প্রতারক সামিউলের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করেও দেখা পায়নি ভুক্তভোগী আবুল হায়াত। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবারটি বস্তুনিষ্ট লিখনীর মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যায় বিচার কামনা করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..