×
সদ্য প্রাপ্ত:
চকরিয়ায় যুবদলের দ্বি বার্ষিকী কাউন্সিল সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত রাঙ্গাবালীতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি চকরিয়ায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ১ আরোহী নিহত" মহিপুরে চোর চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে আসলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি নেতা ইব্রাহিম ফরিদপুর বিসিসি ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাথে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির বরগুনা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় যোগদান ভান্ডারিয়াকে বাল্য বিবাহ মুক্ত উপজেলা ঘোষনা রাণীশংকৈলে পুষ্টি বিষয়ক সচেতনামূলক ক্যাম্পেইনিং পুষ্টি মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরন গাইবান্ধায় পুকুর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার, সৎ মা আটক
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৯-০৩
  • ৪৩ বার পঠিত
গাজীপুর প্রতিনিধি:

পরিবেশের এই বিপন্নতা নিয়ে বন বিভাগ একেবারেই উদাসীন।বনের জমি দখলদারদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ জিরো টলারেন্স থাকার ঘোষনা দিলেও মাঠপর্যায়ে এ ঘোষনা তেমন কার্যকর হচ্ছে না।বনকর্তাদের গুটিকয়েক ভূমিদস্যুদের সাথে আতাঁত করায় বন জমি দখলের হিড়িক আগের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ।চিহ্নিত এই বনভূমি দখলবাজরা ভবন নির্মাণ করে ভাড়া দিলেও সংশ্লিষ্ট বনকর্তারা তাদের আইন প্রয়োগে রহস্যজনক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর থেকে বনভূমির জমি যেনো হরিলুটে পরিণত করেছেন স্হানীয় ভূমিদস্যুরা।আর এমনি অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর রেঞ্জের কাশিমপুর,চন্দ্রা,মৌচাক,ভান্নারা সাব-বিট,বোয়ালী,পাইকপাড়া সাব-বিট,বাড়ইপাড়া,রঘুনাথপুর বিটে বনের জমি দখল করে পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে।

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর,কালিয়াকৈর পৌরসভা,মৌচাক ইউনিয়ন,চাপাইর ইউনিয়ন ও বোয়ালী ইউনিয়নের এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে বনভূমি ও বনের সংরক্ষিত গেজেট ভুক্ত প্রায় হাজার বিঘা জমি এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ও স্থানীয় কতিপয় দালাল চক্রের তদবির কারকদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বনের জমি দিনে রাতে বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দখল প্রতিযোগিতায় মাঠে নেমেছে ওই অসাধু মহলটি।এদিকে কেউ কেউ আবার শুধু দখলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়,জমি দখল করে নিজের কব্জায় রেখে পজিশন বিক্রির হিড়িক পড়েছে এই ইউনিয়ন গুলোতে।আর এর ফলে কেউ আঙ্গুল ফুলে হচ্ছে কলা গাছ।আবার অন্যদিকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বনাঞ্চল।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কালিয়াকৈর রেঞ্জ এর আওতাধীন কাশিমপুর বিটের লস্করচালা এলাকায় মৃত রাজু মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন নামের এক ব্যক্তি এসএ-১৪ দাগে বনবিভাগের জায়গায় ইট দিয়ে ওয়াল করে বিশাল বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে,এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বন বিভাগের কর্মকর্তারা নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়ে আশার পরও কাজ চলমান পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এদিকে একই দাগে ইব্রাহিম হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি রঙ্গিন টিনসেট দুই রুম বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করেছেন।অপরদিকে মৌচাক বন বিটের ভান্নারা সাব-বিটের সাহেব আলী মার্কেট এর উওর পাশে ইউনুস ও কদ্দুস হোসেন নামের দুই ব্যক্তি টিনসেট বাড়ি নির্মাণ করছেন।এছাড়াও চন্দ্রা বন বিটের সিনাবহ (খন্দকার পাড়া)এলাকায় এসএ-৮৬ দাগে আজিবর মিয়া ও হুমায়ুন হোসেন নামের দুই ব্যক্তি ইটের ওয়াল করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছেন।এমনকি একই এলাকায় খোরশেদ মিয়া বনভূমির গাছ নিধন করে টিনসেট বাড়ি নির্মাণ করছেন।এমনকি একই এলাকায় আরো ২০/২৫ টিনসেট আধা পাকা ও পাকা বাড়ি নির্মাণ হয়েছে।

এবিষয়ে কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিম বলেন,আপনারা আসেন,আমাদেরকে সহযোগিতা করেন।আমাদের একার পক্ষে বনভূমির জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্হাপনা ভেঙ্গে দেওয়া সম্ভব নয়।তাই সকলের সহযোগিতা পেলে অবৈধ স্হাপনা ভেঙ্গে দেওয়া সম্ভব।আর রাতারাতি গড়ে উঠা স্হাপনার বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। অতি দ্রুতই অবৈধ স্হাপনা গুলোতে ভ্রামমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat