রোকন বিশ্বাস-পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনার সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কালু শেখের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে নতুন করে আবারো চাঁদার টাকা দাবি করে।আওয়ামীলীগ দলের ছত্রছায়ায় অনেক অপকর্মও করেছে।এই অপকর্মের লালসার স্বীকার হয়েছে অনেক নারী।অন্য কোন দলের ছত্রছায়ায় যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।সাধারণ মানুষের উপরে জুলুম নির্যাতন ও চাপ সৃষ্টি করে নিজের ক্ষমতা জাহির করে ধরে রাখতে চেয়েছে।বর্তমানে সরকার পতনের পরপরই সেই সাথে নতুন করে আবারো নিজের আধিপত্য বিস্তার করে নিজের ০২ নং ওয়ার্ডকে রামরাজত্ব করার জন্য।এই সফলতা অর্জন করার জন্য শ্রীপুর বাজার সংলগ্ন একটি দর্জির দোকান ভাঙ্গচুর লুটপাট করে ভাড়ারা ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ডের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের গডফাদার সাবেক ইউপি সদস্য বাদশা আলমগীর(৫২)।এই লুটপাট করার দুই থেকে তিন দিন পরই আবারো অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটায়।এজাহার সূত্রে জানা যায়,আবারো নতুন করে চাঁদা দাবী করে শ্রীপুরের জমি ব্যবসায়ী শাহিনের বাবা কালু শেখের কাছে।এই চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে শাহীনের জমি রেজিস্ট্রার করার দিন ব্যাগে করে টাকা নিয়ে ক্রয়কৃত জমি রেজিস্ট্রার করার উদ্দেশ্য পাবনায় রওনা দেয়।শ্রীপুর বাজার পাওয়ার সাথে সাথে সন্ত্রাসের মদদদাতা বাদশা আলমগীর কালু শেখের হাতে ব্যাগ ভর্তি টাকা দেখতে পেয়ে সামছুর চায়ের দোকানের সামনে উপস্থিত জনগনের সামনে সকাল সাড়ে নয়টার সময়ে বাদশা আলমগীর(ইউ পি সদস্য) ও তার দুই পুত্র মামুন আলমগীর(৩০),বাপ্পি আলমগীর(২০),মৃত ফয়েজ উদ্দিনের আরো তিন ছেলে আব্দুর রাজ্জাক(৪৮),মুক্তার(৪৫),করিম(৫৫) এর দুই পুত্র ফরিদ(২৫) ও শরিফসহ(২০)আরো অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীরা দলবদ্ধ হয়ে ধারালো হাসুয়া,চাপাতি,লোহার রড,লাঠি,জিআই পাইপ হকষ্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘিরে ধরে বিবাদীরা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।এতে কালু শেখ অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে নিষেধ করলে সাবেক ইউ,পি সদস্য দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর মদদদাতা,চাঁদাবাজ বাদশা আলমগীর মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া মাত্রই ধিরে ধরা সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়।এতে সে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরলে সন্ত্রাসীরা ভাবে মারা গিয়েছে এমন অবস্থায় রাস্তার উপরে ফেলে রেখে চলে যায় সাথে ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ব্যাগ নিয়ে যায়।সন্ত্রাসীরা কিছু দূর যাওয়ার পরে এক মুদি দোকানী তাকে রাস্তার উপর থেকে তুলে রক্তাক্ত অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।এরপর কালু শেখের ছেলে পাবনা রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে থেকে অপেক্ষায় ছিলো বাবা টাকা নিয়ে আসবে,কিন্তু টাকার কোন খোঁজ না পেয়ে বাবার উপরে আকস্মিক ভাবে হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে আসে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে।এসে দেখে তার বাবার চোখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে সাধারণ চিকিৎসায় কোন ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না।কালু শেখের উপরে সারা শরীরের উপরে আঘাতের চিহ্নতে জর্জরিত।
গত শুক্রবার কালু শেখকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মুদি দোকানীকে আবারো সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নতুন ঘটনার জন্ম দেয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাদশাসহ তার দলবলেরা।এই দোকানীকে ধরতে পারলে হয়তো প্রাণ কেডে নিতো আর জনগনের উপস্থিতিতে ধরলে কিছুদিনের জন্য আবারো কালু শেখের মতো জেনারেল হাসপাতালের বিছানা হতো তার ঠিকানা এমন মন্তব্য করেন স্থানীয় দোকানীরা।
তারা আরো বলেন,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমাদের ভাড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এর দোসর।উপজেলা নির্বাচনের সময়ে এই সন্ত্রাসীদের গডফাদার টুকাই বাদশা ভোট করেছে আবু সাঈদের।তারকাছে মাঝে মাঝে জনগনের সম্মুখে দেখাঅ মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র এই গুলো দেখলে কে না ভয় পাবে তাকে দেখে?টুকাই বাদশার কাজই এক দল থেকে অন্য দলে পরিবর্তন হওয়া।এখন আ.লীগ দলের পতন হয়েছে বিএনপিতে যাওয়ার পায়তারা করছে এমনকি বিএনপি নেতাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করছে।এর মূল কাজই হলো ঘুরে ফিরে সরকারি দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া আর বিভিন্নভাবে মানুষের জমি দখল,বালি উত্তোলনে সহযোগী করা,মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের সহযোগীতা করা,দাঙ্গা হাঙ্গা করা মেম্বারের সাইনবোর্ড লাগিয়ে।এই টোকাই বাদশা নামের অত্যাচারী জুলুমবাজ,চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসীর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র আছে কারণ আবু সাঈদের সাথে সারাক্ষণ চলাফেরা ছিলো,আবু সাঈদের নাম নিয়ে আমাদের এলাকায় অনেক অত্যাচার করেছে যা বলে শেষ করা যায় না।এদের অত্যাচারে আমরা ও আমাদের এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি।ঠিকমত ঘুমাতে পারছি না বিভিন্ন ভাবে হুমকির স্বীকার হচ্ছি।আমরা সাধারণ জনগন প্রতিবাদ করলেই রাত্রে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মেরে ফেলার জন্য উপস্থিত হয়।এই সকল কারণে আমরা নিরুপায় হয়ে কিছুই বলতে পারি নাই।আমাদের এই শিক্ষার্থীদের কারণে হয়তো কথা বলার মত ইচ্ছা ও বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি।আমরা আরো বলতে চাই আমাদের পাবনার সদর থানার পুলিশ ভাইদের বলছি টোকাই বাদশাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন,না হলে এরপর কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা টুকাই বাদশা ঘটালে অবশ্যই পুলিকেই দায়ী করা হবে এমন মন্তব্য করেন এলাকাবাসী।
অসংখ্য অভিযোগ থাকার ভিত্তিতে সাবেক ইউপি সদস্য বাদশা আলমগীরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য মুঠোফোনে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।গত দুই দিনের মধ্যে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই মোবাইল ফোন বন্ধ রাখার জন্য।
ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দারা জানান,তিনি মেম্বার থাকা কালীন সময়ে কার্ড বিক্রি,জন্ম নিবন্ধন এর কাজ করতে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ নানা অনিয়ম করেন।তার ভয়ে প্রতিবাদ করলেই আবু সাঈদের গরম দেখায়।এখন আবার দেখতেছি আবু সাঈদ শিক্ষার্থীদের উপরে গুলি করে পালিয়ে আছে তাই এই মেম্বার কোন জায়গায় ঠাই না পেয়ে আবার নতুন করে বিএনপির লোকজনের সাথে চলাফেরা করে এই সকল কার্যক্রম করছে।আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি তাহলে আমাদের কি অবস্থা হবে?এখন পর্যন্তও আমরা বাদশা মেম্বারের ভয়ে কথা বলতে পারি না।সকালে কথা বললে রাত্রেই এসে হাজির হয় বাড়ীর সামনে ভাই ভাস্তে ও কিছু তার দলের সন্ত্রাসীরা তাদের নিয়ে।এতো বড় বড় কান্ড করছে বাদশা এতে পুলিশ প্রশাসনও কিছু বলে না।তারা এসে আবার এই সকল সন্ত্রাসীদের সাথেই চা খায় ঘুরে চলে যায়।পুলিশ প্রশাসন যদি সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ করতো তাহলে আবার সন্ত্রাসীগিরি ছুটে যেত কিন্তু পুলিশ তো তা করে না,শুধু ঘুষ খায় আর চলে যায়।এই টুকাই বাদশার নামে অনেক মামলা আছে বিগতদিনে খোঁজ খবর নেন।তারপরেও পুলিশই তাদের বন্ধু হয় মামলা করলে তদন্তের নামে মামলাগুলো পরিচালনা করে না।পুলিশ তাকিয়ে থাকে ঘুষের নেশায় কখন কে টাকা দিবে?
এখন পর্যন্তও পুলিশ নাম ঠিকই আছে কিন্তু আচরণ পরিবর্তন হয় নাই পুলিশের কখনো কি পরিবর্তন হবে পুলিশের না কি এমন শঙ্কায় থেকে যাবে এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে এখন সাধারণ জনগনের মাঝে।এই শঙ্কাকে উপেক্ষা করে যদি রুপ থেকে বহুরুপে রুপান্তর হয় তাহলে এই সকল সাধারণ জনগন এর ক্ষতির দায়ভার কি পুলিশ নিবে?আইন আছে তার কোন প্রয়োগ নেই,আচার আছে তার বিচার নাই,আদালত আছে মামলা আছে কিন্তু তদন্তের নামে দিনের পর দিন মানুষ হয়রানি হচ্ছে এদিকে অপরাধ বৃদ্ধিই হচ্ছে কিন্তু নির্মূলের কোন ব্যবস্থা নেই।এই সকল অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে পুলিশের তদন্ত নামের এক কার্যকরী কথার দাবানলে,এই তদন্ত নামের কথাটি কিভাবে পরিপূর্ণতা লাভ করবে এটাও সাধারণ জনগন এর কাছে ফুলে ফেঁপে ওঠার মত এক গল্পতে রুপ নিয়েছে।অর্থই যদি পুলিশের মূল হাতিয়ার হয় তাহলে তদন্ত নামের কথাটি হাস্যকরে পরিনত হবে এতে সাধারণ জনগন দাঁড়াবে কোথায়।তদন্ত করতে করতেই জানমালের ক্ষতি হবে পুনরায় মামলা হবে আবারো তদন্ত হবে কিন্তু এই তদন্তের শেষ কোথায় এমন প্রশ্ন এখন সাধারণ জনগনের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে।এতোটুকু জায়গাও কি হবে না?একটুও কি মায়া নেই পুলিশ প্রশাসনের টাকাই কি তাদের মূল হাতিয়ার?
এ জাতীয় আরো খবর..