×
সদ্য প্রাপ্ত:
ছাত্রদের সঙ্গে পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম গড়ার অঙ্গীকার মেয়র ডা. শাহাদাতের দেবহাটায় জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ আসিফ ও আহতদের স্মরনে স্মরন সভা এক্স-রে করে যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা ৬০০ পিচ আমতলীতে কোরআন শরীফ ও মুহাম্মদ(স.)কে নিয়ে শিক্ষকের কটুক্তি কুড়িগ্রাম জেলা নদী ভাঙনের করাল গ্রাসে বিপর্যস্ত জনজীবন, কমে যাচ্ছে কৃষি ও বাসস্থানের জমি ফেনীতে শেষরাতে খামার কর্মচারীকে হত্যা, ৪ লক্ষ টাকার গরু ডাকাতি ছাত্রদের সঙ্গে পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম গড়ার অঙ্গীকার মেয়র ডা. শাহাদাতের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদীর হোসেন মো. জসিমের ওপর হামলা সরবরাহে কৃত্রিম সংকট তৈরিতে কঠোর পদক্ষেপ: বাণিজ্য উপদেষ্টা খুলনা আদালতের জেলা পিপি এড.তুষার, জিপি এড. জাকির
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৮-১৫
  • ৩১ বার পঠিত
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
“স্যার আমরা বিচার কি পাবো না? আমি কি নির্যাতিত হতেই থাকবো। গরীব মানুষেরা কি কোন বিচার পায় না! আমাদের কথা আপনারা একটু পত্রিকায় লেখেন, মিডিয়ায় তুলে ধরেন। আপনারা আমার কথা লিখলে হয়তো আমি সুবিচার পেতেও পারি।”

বলছিলাম ঝালকাঠি শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের কবিরাজ বাড়ি সড়কের ভাড়াটিয়া স্বামী পরিত্যক্ত হামিদা বেগমের কথা।  অসহায় হামিদা বেগম ১ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানসহ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। হামিদা বেগম জানান, তার স্বামী ভান্ডারিয়া নিবাসী খোকন মোল্লা আরেকটি বিয়ে করে সেই বউ নিয়া অন্যত্র বসবাস করেন। স্বামী খোকন মোল্লা হামিদা বেগমের কোন খোজ খবর রাখে না অনেক দিন। স্বামী পরিত্যক্ত হামিদার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ঝালকাঠি সদরের কুতুবনগরের চান ফকিরের পুত্র আবুল ফকির (৪০), ইমন উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র তাজেল হাওলাদার (৪৫), মন্নান বিশ্বাসের পুত্র মনির বিশ্বাস (৩৫), মো: সেলিম এর পুত্র রিয়াজ হাওলাদার (৩১),  বদু মৃধা’র কন্যা সাফিয়াসহ তাদের সহযোগীরা হয়রানি, টাকা আত্মসাৎ ও নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ হামিদা বেগমের। এব্যাপারে গত বছর ৪ সেপ্টেম্বর হামিদা ঝালকাঠি বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে সি.আর মামলা নং ৪৫৭/২০২৩ (ঝাল) দায়ের করেছেন। এছাড়া গতকাল (১৫ আগষ্ট) ঝালকাঠি সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ বরাবর প্রতিকার চেয়ে একটি আবেদন করেছেন। মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি পাল্টা মামলা হামলা চালিয়ে নাজেহাল করে হামিদাকে। হামিদার বসতঘর দখল ও ঘরের মালামাল নিয়ে যায় ওই সকল আসামীরা। ২টি সন্তান নিয়ে হামিদা ফুটপাতসহ বিভিন্ন জাযগায় দিনাতিপাত করে। আসামীদের বিরুদ্ধে স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করেন হামিদা।

মামলায় হামিদা উল্লেখ করেন, আসামীরা হামিদাকে বসত ঘর থেকে টেনে হেচরে  এলোপাতারি মারপিট করে। ঘরের স্বর্ণালংকার, টাকা পয়সা জোর পূর্বক নিয়ে যায। হামিদা নিজে ও তার কন্যা আহত হয়ে ঝালকাঠি ও বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেন। তিনি পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও ঝালকাঠি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি বরং হ্যারেজমেন্ট হয়েছে বলেও জানান হামিদা বেগম। সুবিচার পাওয়ার আশায় হামিদা ধরনা ধরছেন আদালতের বারান্দায়, প্রশাসনের দরজায় ও মিডিয়াকর্মীদের অফিসে।

হামিদা বেগমের মেয়ে শায়লা ইসলাম জান্নাত বলেন, “আমাকে এবং আমার মাকে ওই সকল সন্ত্রাসীরা যৌন হয়রানিসহ মারধর ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমাদের পরিবারের উপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। আমাদের ঘরের মালামাল, টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।”  
হামিদার অভিযোগের বিষয়ে আবুল ফকির জানান, হামিদার বক্তব্য সম্পূর্ণ সঠিক নয়। তিনি অতিরঞ্জিত করে বলছেন।

হামিদা মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে। হামিদার দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাটি আদালতের নির্দেশে  সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে।  হামিদার মামলা করা নেশা ও পেশা। সে মিথ্যা মামলা দিয়ে টাকা পয়সা দাবী করে মীমাংসা হতে চায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat