কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কুমারখালী উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের দেখা মিলছে না। পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ ও ১ টি পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন আড়ালে। জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সেবা-পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা কার্যক্রমও। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দিলেও তা মানছেন না জনপ্রতিনিধিরা। জনপ্রতিনিধিদের আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এ অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশের মতো কুমারখালী উপজেলার জনসাধারণ স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সেবা-পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী, উদ্যোক্তা, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা উপস্থিত থাকলেও নেই কোনো জনপ্রতিনিধি। কুমারখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন আব্দুল মান্নান খান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদেরও দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘদিন। পৌর মেয়র সামসুজ্জামান অরুণ সহ সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরা রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের মনোনীত এবং দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে অনেকে পরিষদে না গেলেও কর্ম এলাকায় আছেন বলেও নিশ্চিত করেন সূত্রটি। একাধিক ইউপি সচিব ও সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ আগস্টের পরে দুর্বৃত্ত-রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হামলায় ভয়ে তারা আত্মগোপনে আছে। অনেকের বাড়ি ও অফিসে হামলা, ভাংচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..