মো: খোকন সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
পুরো নাম মো: শরিফুল ইসলাম। বাড়ী মানিকগঞ্জের জেলার সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের সাফুল্লী গ্রামে মোহাম্মদ আব্দুল মসজিদের বড় ছেলে। পেশায় সিএনজিচালক। শত কষ্টেও তিনি সফল একজন মানুষ!
সাটুরিয়া-দরগ্রাম সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান তিনি। অনেক কষ্টে কেটেছে তার শৈশব-কৈশোর। ২০১০ সালে দড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় হইতে এসএসসি এবং ২০১২ সালে সরকারি ভিকু মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পাস ও ২০১৪/ ১৫ শিক্ষাবর্ষরের সরকারি ভিকু মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন শরিফুল ইসলাম। এরপর অভাব ঘোচাতে কিছুদিন চাকরি করেছেন একটি ওষুধ কোম্পানিতে। কোভিডের সময় সেই চাকরিও হারান শরিফুল ইসলাম।
সংসার সামলাতে দিশেহারা হয়ে সিএনজি নিয়ে নামেন পথে। এর পর কয়েক বছর য়াবদ সিএনজি চালিয়ে তিনি জীবন নির্বাহ করছেন। উপজেলার রাজপথে চালকের আসনে শরিফ। এর আগে দুই বছর শহরের বিভিন্ন মেসে কাটিয়েছেন। বৃদ্ধ মা-বাবা, ছোট ভাই, স্ত্রী আর চার বছরের একটি শিশু সন্তান নিয়ে শরিফের সংসার। একমাত্র ছোট ভাই ধামরাইয়ের একটি গার্মেন্টে চাকরি করলেও এখন বেকার। সারাদিন যা আয় করেন তা দিয়ে অসুস্থ বাবার ওষুধ ও ছেলের দুধ কিনতেই টাকা শেষ হয় শরিফের। মায়ের দেখাশুনা থেকে শুরু করে সংসারের কর্তব্য পালনের কমতি নেই তার। নিদারুণ কষ্টে থেকেও মা-বাবাকে যথেষ্ট ভালোবাসেন শরিফ।
শরিফুল ইসলাম দুঃখ করে বলেন এত কষ্ট করে লেখাপড়া শেষ করলাম , পড়াশোনা করার পর পরিস্থিতির শিকার হয়ে সিএনজিচালকের আসনে আমি। তবে যদি কোন প্রতিষ্ঠান আমাকে শিক্ষার মর্যাদা দিয়ে একটি চাকরি দেন তাহলে এ পেশা আমি ছেড়ে দিব তিনি আর ও বলেন আমি আমার বাবা ও মার পাশে থাকতে পারি সেজন্য সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন।
সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খান মজলিশ সাংবাদিকদের বলেন,এমন অনেক হাজারো ‘শরিফুল’ আছে আমাদের সমাজে। সে শিক্ষিত হয়েও সিএনজি চালিয়ে জীবন নির্বাহ করছেন- এটা একটি উদাহরণ।
এ জাতীয় আরো খবর..