×
সদ্য প্রাপ্ত:
ছাত্রদের সঙ্গে পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম গড়ার অঙ্গীকার মেয়র ডা. শাহাদাতের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদীর হোসেন মো. জসিমের ওপর হামলা সরবরাহে কৃত্রিম সংকট তৈরিতে কঠোর পদক্ষেপ: বাণিজ্য উপদেষ্টা খুলনা আদালতের জেলা পিপি এড.তুষার, জিপি এড. জাকির ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে --আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শ্রীপুরে বিএনপি নেতার উপর হামলা করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ। কুড়িগ্রাম জেলায় টি আর সি পুলিশ পদে চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ। ম্মেলনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদীর হোসেন মো. জসিমের ওপর হামলা। সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় : প্রধান উপদেষ্টা
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৭-০৯
  • ৬৭ বার পঠিত
এএসএম হারুন:
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ফেনীর উত্তরের দুই উপজেলায় মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ পুকুর ও ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বন্যায় মৎস্যখাতে রেণু, বড় মাছ ও পুকুরের অবকাঠামো মিলে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সামনে আসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। 

জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনে ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যায় মাছ চাষিদের অন্তত ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এক হাজার ছয় শত'র বেশি খামারি। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে দুই উপজেলার একক ও যৌথ মালিকানাধীন প্রায় ৩২৫টি পুকুর। এসব পুকুর থেকে ৫৭ লাখ টাকার বড় মাছ এবং ৩৭ লাখ টাকার মাছের পোনা ভেসে গেছে। এছাড়া দুই উপজেলায় খামারিদের প্রায় ২২ লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, ফুলগাজী উপজেলায় ২৪৫টি পুকুর ভেসে সাড়ে ৪০ লাখ টাকার মাছ ও সাড়ে ৭ লাখ টাকার মাছের পোনা ভেসে গেছে। উপজেলায় মাছ চাষিদের ২০ লাখ টাকার আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ফুলগাজীতে ৬৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করা হয়েছে। একইভাবে পরশুরাম উপজেলায় ৮০টি পুকুর ভেসে ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার মাছ ও ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকার মাছের পোনা ভেসে গেছে। উপজেলায় মাছ চাষিদের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। সব মিলিয়ে পরশুরামের মৎস্যখাতে প্রায় সাড়ে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

দক্ষিণ শালধর এলাকার মৎস্য খামারি আলমগীর হোসেন বলেন, নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুকুরের চারপাশে নেট জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছিলাম। কিন্তু বাঁধ ভেঙে পানির তীব্র স্রোতে কিছুই কাজে আসেনি। সবকিছু পানিতে ভেসে গেছে। 

ফুলগাজীর উত্তর দৌলতপুর এলাকার মাছ চাষিরা জানান, আকস্মিক বন্যায় সবকিছু ভেসে গেছে। ক্ষতি কাটিয়ে বছর ঘুরে আসার আগেই আবার একই দশা হয়। এভাবে লোকসান গুণতে গুণতে অনেকেই ব্যবসায় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হলে প্রতিবছরই আমাদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হবে। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম  জানান, বন্যার পানিতে দুই উপজেলার অন্তত ৩২৫টি পুকুর ভেসে গেছে। এতে অনেক খামারি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তথ্য পাঠানো হয়েছে। কোনো ধরনের সহযোগিতা আসলে তা খামারিদের প্রদান করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat