কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় রথযাত্রার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (০৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়ায় রথযাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোঃ এহেতেশাম রেজা। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওমীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, সহ সভাপতি ও জেলা জর্জ কোটের বিজ্ঞ পিপি অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পার্থ প্রতীম শীল প্রমূখ। উদ্বোধন কালে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। তাই ধর্মের আধ্যাত্মিক চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে আমাদের সকলকে জগতের কল্যাণ ও সম্প্রীতির চর্চা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, অনুষ্ঠান চলাকালীন কেউ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধর্ম যার উৎসব সবার।
অনুষ্ঠানে আজগর আলী বলেন, তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে অগ্রসর বাংলাদেশ পেয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়ার উন্নয়ন হয়েছে। এসব উন্নয়নের মূলে হলো আমরা অসাম্প্রদাযড়ক চেতনা ধারণ করে একসাথে চলছি। বঙ্গকত্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নত অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক শক্তিকে কঠোরভাবে দমন করতে সক্ষম হয়েছি। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কোনো ভেদাভেদ নাই, এদেশ সবার। প্রতিবছরের মতো সনাতন ধর্মাবলম্বীরা রথযাত্রা উদযাপন করেছে। এবারও বিকেল বেলা কুষ্টিয়াা শহরের শ্রী শ্রী গোপীনাথ জিউর মন্দির থেকে রথ বের হয় এবং কুষ্টিয়া শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বড় বাজার মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। উল্লেখ্য, হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামানায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের পর বর্ণিল শোভাযাত্রায় শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব। রথযাত্রা উপলক্ষে নানা ধরনের জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানিরা। শিশুদের হরেক রকমের খেলনার দোকানও দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রতি বছরই রথযাত্রায় বৃষ্টির কারণে বেচা-কেনা কম হয়। প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় রথযাত্রা। এর আটদিন পর অনুষ্ঠিত হয় উল্টো রথযাত্রা। রধযাত্রাকে কেন্দ্র করে শহরের এন এস রোডে ছিলো উপচে পড়া ভিড়। প্রায় এক কিলোমিটার পথ জুড়ে বসে এ মেলা। মেলাতে শতশত নারী-পুরুষ বিভিন্ন জিনিস কিনতে ভিড় করেন। তবে খই, মুড়ি, মুরকি এবং মহিলাদের প্রসাধনে ও বাচ্চাদের বিভিন্ন খেলনার কদর বেশি। শিশুদের খেলনার মধ্যে ঠেলা লাঠি গাড়ি, চটপটি গাড়ি, ঝাড়বাতি, বাঁশি, মাটির তৈরি ব্যাংক, পশুপাখি, পুতুল সোপিস সামগ্রী দেখা যায়।
এ জাতীয় আরো খবর..