এ,কে,এম আসাদুজ্জামান রানা, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় হাফিজাবাদ ইউনিয়নের খালপাড়া গ্ৰাম ৫ নং ওয়ার্ডের মোঃ আমিরুল ইসলাম এর কন্যা শান্তা আক্তার (২০), এর সাথে ৪ নং কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের চছপাড়া গ্ৰামের মোঃ সামসুল হক এর পুত্র এসিআই কোম্পানি লিমিটেড এ কর্মরত মোঃ মুক্তার রহমান (২৫), এর পাঁচ মাস পূর্বে শান্তা আক্তারের সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এমতাবস্থায় শান্তা আক্তারের অভিযোগ তার স্বামী মোঃ মোক্তার রহমান (২৫), ভাসুর মোঃ মমিনুর রহমান (২৮), শশুর মোঃ সামসুল হক (৫০), শাশুড়ি হাজেরা বেগম (৪৮), সকলে মিলে যৌতুকের দাবিতে শান্তা আক্তার এর উপর অমানুষিক নির্যাতন করতে থাকে। শান্তা আক্তার এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করলে গত কোরবানির ঈদের রাতে এবং তারপরের দিন শান্তা আক্তার কে বেধড়ক মারপিট করে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে শান্তা আক্তারের বাবা, মোঃ আমিরুল ইসলাম জানতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
অন্যদিকে শান্তা আক্তারের স্বামীর বাড়ির লোকজনের সাথে কথা হলে তারা পুরো বিষয়টাই অস্বীকার করে শান্তা আক্তারের উপর গড়িয়ে দেয়।
শান্তা আক্তারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো যখম মাররের চিহ্ন রয়েছে। একমাত্র মেয়ের এ ধরনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পিতা মোঃ আমিরুল ইসলাম, আইনের শরণাপন্ন হয়ে, বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনালে সুবিচারের জন্য একটি মামলা দায়ের করেছেন যাহার মামলার ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী /০৩) ১১ (খ)/১১(গ)/৩০ ধারা মতে প্রার্থনা করেছেন এবং গণমাধ্যমের কাছে নারীর নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..