×
সদ্য প্রাপ্ত:
সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদীর হোসেন মো. জসিমের ওপর হামলা সরবরাহে কৃত্রিম সংকট তৈরিতে কঠোর পদক্ষেপ: বাণিজ্য উপদেষ্টা খুলনা আদালতের জেলা পিপি এড.তুষার, জিপি এড. জাকির ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে --আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শ্রীপুরে বিএনপি নেতার উপর হামলা করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ। কুড়িগ্রাম জেলায় টি আর সি পুলিশ পদে চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ। ম্মেলনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদীর হোসেন মো. জসিমের ওপর হামলা। সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় : প্রধান উপদেষ্টা গাজা চুক্তিতে ফের ভেটো যুক্তরাষ্ট্রের
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-২০
  • ৫৫ বার পঠিত
মোঃ মশিউর রহমান বিপুল, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে তিস্তা,দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা নদীসহ ১৬টি নদীর পানি বেড়েই চলছে। এরমধ্যে ধরলা এবং তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে তিনটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী,ভূরুঙ্গামারী এবং রাজারহাট উপজেলার প্রায় ১৫হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়,বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত ফুলবাড়ি উপজেলার তালুকশিমুল শেখ হাসিনা ২য় ধরলা সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ১৬সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া রেল সেতু পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে । বন্যার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে দেখা দিয়েছে নদনদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন। 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্য মতে নদীর পানি বাড়ার কারণে নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন সড়ক। ডুবে গেছে সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, পানি বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন জায়গায় প্রায় দু কিলোমিটার এলাকায় ৫/৬টি পয়েন্টে ভাংগন চলছে। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। জেলায় স্বল্প মেয়াদি এই বন্যা পরিস্থিতি দু একদিনের মধ্যে উন্নতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান।

কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি বন্যায় জেলায় প্রায় ৪৫৩ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে মরিচ,আউশ ধান,পাট,চিনা,পটল খেতসহ অন্যান্য ফসল রয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, জেলার উপর দিয়ে ১৬টি নদী প্রবাহমান। এর মধ্যে ধরলা ও তিস্তা নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে ফলে রাজারহাট, নাগেশ্বরী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নীচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দুর্যোগ কবলিত মানুষের সংখ্যা তিন হাজার ৬৯১ জন। উপজেলা পর্যায়ে ১৪৪মে. টন জিআর চাল এবং নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসাবে উপ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৪০৪টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে দুর্গত মানুষ আশ্রয় নেয়া শুরু করেছেন। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে খাদ্য সহায়তা। ৪টি স্পিড বোট ও ২ টি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্যার্তদের উদ্ধারের জন্য। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। 
পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বন্যা কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের সহায়তায় স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর নদী ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat