শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
অন্যের নামে দলিলকৃত কবরস্থানের জায়গা নিজের নামে মালিকানা দাবি করে এক মৃত মহিলার লাশ দাফনের জন্য কবর খননে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আ: সাত্তার নামে প্রভাবশালী এক সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।ওই সাবেক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে কয়েক জনে মিলে আজ ০৬ জুন বৃহস্পতিবার সকালে খবর খনন কাজে বাধা প্রদান করে বলে জানান আঃ খালেক নামে এক ভুক্তভোগী।
ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর সদর উপজেলার গাজিরখামার ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে। পরে খবর পেয়ে শেরপুর সদর থানার সিনিয়র উপপরিদর্শক মোস্তাফিজ এর সঙ্গীয় একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হস্তক্ষেপ করলে কবর খনন সম্ভব হয়। উপপরিদর্শক মোস্তাফিজ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে জানলাম বিবাদীরা বাধা দিলেও এখন তারা কবর খননে আর কোন বাধা প্রদান করবে না। ফলে বিষয়টি মিটে গেছে। "
এসময় ভুক্তভোগী আঃ খালেক জানান, আমার দাদা আমার নামে ২.৫ শতাংশ জমি কবরস্থানের জন্য লিখে দিয়েছেন। আমি আজ আমার মৃত মেয়ের জন্য কবর খুড়তে গেলে আঃ সাত্তার মেম্বার, আব্দুর রহমান আদু, শাহিন মিয়া ও ওমর আলী সহ কয়েকজন মিলে কবর খননে আমাকে বাঁধা দেয় ও আমার উপর হামলা করে। পরে আমার লোকজন এসে আমাকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে। " আমি তাদের বিচার চাই। "
ওই এলাকার বাসিন্দা গনুই শহীদ মোতালেব উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আঃ মালেক বলেন, ঐ কবরস্থানের জমি নিয়ে ইতিপূর্বে আমরা উভয়পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করলে অফিসার ইনচার্জ তখন জানিয়েছিলেন এই জমি কবরস্থানের এবং আমরাই সেটা পাবো। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান আমাদের না জানিয়ে ওদের নিয়ে জমি ঘেরাও করে দিয়ে যায়।এখন আমরা সাত্তারের এমন কাজের বিচার চাই। "
এই জমির ব্যাপারে আঃ খালেকের ভাতিজা মিজানুর রহমান বলেন, এই জমির রেকর্ড আঃ সাত্তারের বাবার নামে কিন্তু এই জমি আমাদের বাপ দাদাদের কাছে তিনি বিক্রি করে দলিল করে দিয়েছেন। যার রেকর্ড কারেকশন এর মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় সাত্তার মেম্বার তার দলবল নিয়ে আমাদের উপর যে হামলা করেছে তার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এব্যাপারে আঃ সাত্তার মেম্বার কে মোবাইলে কথা বলার জন্য কল করা হলে তিনি ফোন কল কেটে দেন।
এ জাতীয় আরো খবর..