ইব্রাহিম মুকুট, ময়মনসিংহ: একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট যার যাত্রা শুরু ১৯৬৩ সালের ৪ জুলাই।এটি এক সময় তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স ছিল যা এখন ৪ বছর। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে কারিগরি শিক্ষায় উন্নীত করার জন্য তিন বছরের কোর্সকে চার বছরে রূপান্তরিত করেছেন। ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা এলাকায় ২৭ একর জায়গার উপর অন্যতম সর্ববৃহৎ এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত যার মধ্যে ৪ একর সম্পত্তি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ৭টি টেকনোলজি চালু রয়েছে। সময় উপযোগী ও দেশি-বিদেশি প্রযুক্তিগত চাহিদা বিবেচনা করে টেকনোলজি সমূহ নির্ধারিত হয়েছে।সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার যার শতকরা ২০ ভাগের অধিক প্রায় ১৫শতজন ছাত্রী।ছাত্রীদের জন্য ছাত্রী হোস্টেলে সিট সংখ্যা ৮০ টি যা একেবারেই অপ্রতুল ও বহু পুরাতন।অপরদিকে পাঁচ হাজার ছাত্রের জন্য সিট সংখ্যা ২ শত যা একে বারে অপ্রতুল।ক্লাস রুম গুলো পুরনো হওয়ায় দিন দিন ব্যাবহারে অযোগ্য অনুপযেগী হয়ে পড়েছে।আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উচ্চশিক্ষিত প্রকৌশল হওয়ার জন্য যারা ব্যস্ত সেক্ষেত্রে অনুপযোগী ভবনের কারণে আধুনিক প্রকৌশল যন্ত্রপাতি থাকার পরও সেগুলোর ব্যবহার ও শিক্ষার্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হওয়ার পিছনে এই সকল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অবদান অনস্বীকার্য। তাই বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে দক্ষ প্রকৌশল হওয়ার জন্য শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ চাই। এর জন্য মানসম্মত ক্লাস রুম ও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের বিকল্প নাই।এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর কামনা করেন ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাবক বৃন্দ কেননা একজন ছাত্র প্রকৌশল হওয়ার পিছনে সরকারের প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়।২শতাধিক শিক্ষক শিক্ষাদানে দায়িত্ব পালন করেআসছিল।পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ শওকত হোসেন বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
ডিজিটাল বাংলাদেশ, কারিগরি শিক্ষার ২০% টার্গেট করলে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, তাই দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে কারিগরি কলেজ এবং প্রতিটা বিভাগে একটি করে মহিলা পলিটেকনিকেল ইনস্টিটিউট স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে করে দেশ ও জাতির মেরুদন্ড শক্তিশালী হবে এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে ও বৈদেশিক আয় আরো বৃদ্ধি পাবে প্রকারান্তরে পরিনত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
এ জাতীয় আরো খবর..