আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলী উপজেলায় হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তত্তাবুনিয়া গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধী জলিল হাওলাদারকে পিটিয়ে আহত করেছে। ভুক্তভোগী জলিল হাওলাদারের বাড়ির পূর্ব পাশে খাল সংলগ্ন বিলে ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহত প্রতিবন্ধী জলিল হাওলাদার( ৫০)পিতা মৃত মফিজ হাওলাদারের ছেলে। শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী জলিল এবং তার স্ত্রী ফরিদা বেগম তাদের বাড়ির পূর্ব পাশের বিলে ডাল ক্ষেতে ডাল তুলছিল এসময় অভিযুক্ত দুলাল গাজি (৫০)পিতা রশিদ গাজি ও অলিদ নিজাম হাওলাদার জোরপূর্বক প্রতিবন্ধী জলিলের ডালের ক্ষেতে ধান কাটার মেশিন প্রবেশ করালে জলিল বাঁধা দিলে দুলাল গাজি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবন্ধী জলিল হাওলাদারকে কাঠের মুগুর দিয়ে মাথায়, নাকে বিভিন্ন স্থানে বেধরক পিটিয়ে আহত করে।
এসময় স্বামীকে বাঁচাতে তার স্ত্রী ফরিদা বেগম আসলে তাকেও চুলের মুঠি ধরে দুলাল গাজি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত প্রতিবন্ধী জলিল হাওলাদার বলেন, আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী আমার বউকে নিয়ে ক্ষেতে ডাল তুলতেছিলাম তখন দুলাল গাজি অলিদকে নিয়ে জোর করে ডাল খেতে ধান কাটার মেশিন ঢুকিয়ে আমার ডাল ক্ষেত নষ্ট করে আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে পিটিয়ে আহত করে। আমার বউ বাধা দিলে তাকেও চুলের মুঠি ধরে ধাক্কা দেয়। তাই কেউ ভয়ে ছাড়াতে আসেনি।আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
প্রতিবন্ধী জলিলের স্ত্রী ফরিদা বলেন, ওরা আমার প্রতিবন্ধী স্বামীকে বেধরক পিটিয়েছে আমি ছাড়াতে গেলে আমার চুলের মুঠি ধরে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় মামলা করলে আমাদের এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিতেছে । আমরা ভয়ে কোথাও যেতে ও বিচার চাইতে পারছিনা। আমি প্রশাসনের কাছে আমি এ ঘটনার বিচার চাই ।
অভিযুক্ত দুলাল গাজি ভুক্তভোগী জলিল হাওলাদারের জমিতে জোর করে প্রবেশ করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি তাকে পিটাই নি উলটো সে আমাকে পিটাইছে। আমিও হাসপাতালে ভর্তি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. লুনা বিনতে হক বলেন,প্রতিবন্ধী জলিলের মাথায়, কপালে এবং নাকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মাথার আঘাতটা একটু গুরুতর। তার চিকিৎসা চলছে।
আমতলী থানার ওসি তদন্ত মোঃ আমির হোসেন বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি, পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..