ইব্রাহিম মুকুট ময়মনসিংহ: "সুস্থ্য শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ, গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ" প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশের ন্যায় বিভাগীয় নগরী ময়মনসিংহে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালিত হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভবনের নিরাপত্তা, মেশিনের নিরাপত্তা, অগ্নি নিরাপত্তা, নারী শ্রমিকদের প্রসুতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে মালিক-শ্রমিককে সচেতন করতে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর ২৮ এপ্রিল দেশব্যাপী জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উদ্যোগে গত ২৮ এপ্রিল রবিবার ২০২৪ ইং বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলেচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১০ ঘটিকায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ময়মনসিংহের চত্বরে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, বিপিএএ বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের কর্মসূচী উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার স্মৃতি মিলনায়তনে মোঃ আরিফুল হক মৃদুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), ময়মনসিংহ-এর সভাপতিত্বে দিবসের তাৎপর্য ও কর্মকেক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটির গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, ময়মনসিংহের উপমহাপরিদর্শক আহমাদ মাসুদ। এ সময় তিনি পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উদযাপনের প্রেক্ষাপট,অত্র দপ্তরের মিশন, ভিশন, লক্ষ্য ও অর্জন সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরে অধিক্ষেত্রাধীন কারখানা প্রতিষ্ঠানে শ্রম আইন বাস্তবায়ন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ, শিশুশ্রম নিরসনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। কারখানা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারী শ্রমিকদের জন্য ফিমেইল হাইজেন নিশ্চিতকরণ, ননকমিউনিকেবল অকুপেশনাল ডিজিস রোধে আরগনোমিক সেইফটি নিশ্চিত করতে তিনি মালিকদের প্রতি আহবান জানান। শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারি বেসরকারি দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে সুসমন্বয়পূর্বক মাল্টিসেক্টরাল এপ্রোচ ও কো-অপারেশনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিপিএএ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক),মো: আজিজুর রহমান,
তিনি শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ সার্বজনিন পেনশন ব্যবস্থায় সকল শ্রমজীবী মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে মর্মে উল্লেখ করেন। ময়মনসিংহ বিভাগের বিশেষকরে ভালুকা ও ত্রিশাল উপজেলার শিল্পাঞ্চলের কারখানাসমূহে কর্মরত শ্রমিকদেরকে সার্বজনিন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে মালিক পক্ষের প্রতি আহবান জানান। তিনি শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিতকরণে মনিটরিং কার্যক্রম এবং শিল্প কারখানা সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের মধ্যে সুসমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিআইএফই এর মনিটরিং বাড়াতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের মাধ্যমে এ বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
["কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিআইএফই এর মনিটরিং বাড়াতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের মাধ্যমে এ বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।"-মো: আজিজুর রহমান, বিপিএএ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক), ময়মনসিংহ বিভাগ।]
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে মোঃ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার শিল্পাঞ্চল পুলিশ-৫, ভালুকা, ময়মনসিংহ, মোঃ ফারুক হোসেন, পুশিল সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়, ডা. অভিজিৎ লোহ, ডেপুটি সিভিল সার্জন, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মনসুর, উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিভাগীয় কার্যালয়,মো: খোরশেদ আলম সহকারী পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স, আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর,ডেমিয়েন ফাউন্ডেশন এর প্রজেক্ট ডাইরেক্টর জোৎসানারা বেগম,বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক,শ্রমিক প্রতিনিধি তফাজ্জল হোসেন,এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সারোয়ার হোসেন প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। কলকারকাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়, ময়মনসিংহের শ্রম পরিদর্শক (স্বাস্থ্য) নন্দন চক্রবর্তী আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।এর আগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।অতিথিবৃন্দ কলকারকাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এর কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিকরা র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..