নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের নীরবতায় পুটাইল ইউনিয়নে গুরু সত্তা-ভিগোনা মৌজায় সরকারি খাস জমিসহ তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন-মাটি ব্যবসায়ী দেলোয়ার,কালাম মেম্বার, রহিজ উদ্দিন মেম্বার, আক্কাজ, শরীফ, নুর ইসলাম এবং জনি।এলাকার মুরুব্বিগণ বলেন ওই মৌজায় সরকারি খাসজমি রয়েছে। তথ্য মতে সরকারি খাস জমি ও তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটার ফলে,একদিকে সরকারি আইন লংঘন করা হচ্ছে, অন্যদিকে আশেপাশের কৃষকদের তিন ফসলি কৃষি জমি যেকোনো সময় ভেঙে ডোবায় পরিনত হবে।কৃষকরা ভয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছে না। মাটি ব্যবসায়ীদের মূল হোতা দেলোয়ার বলেন, গুরু সত্তা মৌজায় আমি তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটছি না, তবে অন্যান্য মাটি ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মাটি কিনে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে থাকি। তবে অধিকাংশ মাটি ব্যবসায়ীরা বলেন, নিউজ হলেও আমাদের তিন ফসলি কৃষি জমির মাটিকাটা বন্ধ হবে না। কারণ মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই আমরা তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে যাচ্ছি। ইউ এন ও,এসিল্যান্ড অফিসের ড্রাইভার, নাজির সহ অনেক স্টাফের সাথে আমাদের ফোনে যোগাযোগ রয়েছে। ইউ এন ও, এসিল্যান্ড কখনো লোক দেখানো মোবাইল কোর্ট করার জন্য অভিযানে আসলে, ইউএনও এসিল্যান্ড অফিসের ড্রাইভার, নাজির অন্যান্য স্টাফ আমাদেরকে জানিয়ে দেয়।ওই সময়টুকু আমরা তিন ফসলি কৃষি জমির মাটিকাটা বন্ধ রাখি। পুটাইল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান মেম্বাররা বলেন, অন্যান্য সাংবাদিকদের মত আপনাদের ৫০০/১০০০ টাকা নিয়ে চুপ থাকাই ভালো। আপনারা নিউজ করে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটিকাটা বন্ধ করতে পারবেন না।পুটাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, প্রত্যেক মাসে আমি ডিসি অফিসের মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে তিন ফসলি কৃষিজমির মাটি কাটা বন্ধ করার জন্য বললেও, প্রশাসন তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধ করার জন্য আইনগত ব্যবস্থা তো দূরের কথা, মোবাইল কোর্ট দিয়ে অভিযান ও করে না। চেয়ারম্যান আরো বলেন, কিছুদিন আগে ৭৯ শতাংশ খাস জমির মাটি কাটার বিষয় প্রশাসনকে জানিয়ে বন্ধ করতে পারিনি। তাই এখন চুপ থাকি।
সাধারণ কৃষকরা ও বলেন,মাটি ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সরকারি খাস জমি ও তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে থাকেন,প্রশাসন যদি ইচ্ছে করে সরকারি খাস জমি,তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটা তো দূরের কথা, মাটি ব্যবসায়ীরা এক কোদাল মাটি ও কাটতে পারতো না।পুটাইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কে ফোন করলে, ফোন রিসিভ করেন না, পরবর্তীতে সাংবাদিকরা তার অফিসে গিয়ে, গুরুসত্ত্বা মৌজার খাস জমি ও তিন ফসলী কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে, সাংবাদিকদের ইউ এন ও অফিসে যেতে বলেন। নায়েব গুরু সত্তা মৌজার সরকারি খাস জমি ও তিন ফসলি কৃষিজমির মাটি কাটার বিষযে সাংবাদিকদের জানানোর কথা বলে পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন করলে ফোন রিসিভ করেন নি। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট লিটন ঢালী তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধ করার জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বললে ও এখন পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা নেননি।
এ জাতীয় আরো খবর..