দৌলতপুর, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় নকল টিসিবি কার্ডের ছড়াছড়ি, পন্য বিক্রিতে ভোগান্তিতে ডিলার ও ইউনিয়ন পরিষদ।
উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়ন সহ কয়েকটি ইউনিয়নে সরকারের ভূর্তুকি মূল্যের টিসিবির কার্ড জালিয়াতি করে বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।এতে জেলা প্রশাসনের কার্ডের বিপরীতে সুবিধা গ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে । যার বেশিরভাগই নকল। ফলে টিসিবি পণ্য সরবরাহ করতে গিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন ইউনিয়ন পরিষদ ও ডিলার উভয়ই।
জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে যারা প্রণোদনা ভাতা পেয়েছিলেন তাদেরকে টিসিবি কার্ড দেওয়া হয়। পরে নতুন করে আরও কার্ডের বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু স্বাক্ষর ও সিলমোহর স্কান করে প্রায় দ্বিগুণ কার্ড তৈরি করে একটি জালিয়াতি চক্র। কিছু কার্ডে কোনো সিলও নেই ছবি একজনের আইডি নম্বর আরেক জনের। যারা ঐ কার্ডগুলো নিয়ে পণ্য নিতে আসছেন তারা নিজেরাও কার্ডের মালিক নন।
মঙ্গলবার বিভিন্ন মাধ্যমে খবর আসে চকমিরপুর ইউনিয়নে টিসিবি পণ্য দেওয়ার সময় সন্দেহ জনক কিছু কার্ড জব্দ করা হয়। এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে খবরের সত্যতা পাওয়া যায়।
স্থানীয় টিসিবি ডিলার বলেন, কিছু ইউনিয়নের পণ্য দিতে এসে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।দেখা যাচ্ছে, আসল কার্ডধারীরা পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এসময় এক ভুয়া কার্ডধারী সাইফুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি বলেন আমি সমবায় অফিসার আমার নামে কার্ড আছে সমস্যা নাই। তখন তাকে বলা হয় ছবি তো আপনার না তখন তিনি বলেন এসব করা যায় আমরা কত করি।এসময় তিনি সাংবাদিক কে এক প্রকার দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
চকমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, একটি জালিয়াতি মহল কম্পিউটারের মাধ্যমে জাল কার্ড তৈরি করে দিয়েছে। যার ফলে এ নিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আমি এই জালিয়াতি চক্রের মুল হোতাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবী করছি। যাতে করে এই ভোগান্তি থেকে সাধারণ মানুষ রেহাই পায়। এসময় তিনি আরও বলেন একটি চক্র বয়স্ক ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা,বিধবা ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতার টাকা অসহায় মানুষদের কাছ থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে পিন কোড দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত এদেরকে ধরে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন- টিসিবি নকল কার্ডের জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..