নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যবসা করার জন্য সরকারী নির্ধারিত স্থান ঘোষণা করলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকারি ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য যেখানে সেখানে অবৈধ ভাবে গড়ে তুলছেন কারখানা।
এমনই একটি বেশাল জুতা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে আশুলিয়ার জামগড়া প্রাইমারি স্কুল রোড মোল্লা পাড়া মসজিদ সংলগ্ন আবুল হোসেনের বাড়িতে।
উক্ত কারখানায় গেলে দেখা যায় মোঃ মোস্তফা নামে এক ব্যক্তি অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে ঘনবসতি আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে চামরা দিয়ে তৈরী করছেন জুতা, দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে এলাকা।
এবিষয়ে জানতে উক্ত কারখানার ভিতরে প্রবেশ করলে সংবাদ কর্মীদের সাথে অসৎ আচরণ করেন কারখানা মালিকের বড় ছেলে। করেন সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণ।
উক্ত কারখানায় গিয়ে দেখা যায় জুতা তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে চামরা,প্লাস্টিকের সোল অত্যাধুনিক মেশিন জুতা তৈরির ঘ্যাম আঠাসহ বিভিন্ন জালানি জাতীয় দ্রব্য বা কেমিক্যাল।
কাগজ পত্র বিহীন উক্ত একারখানায় কাজ করছে প্রায় ১৫/২০ জন কর্মচারী। তাদের জন্য নেই কোন নিরাপত্তা সরঞ্জাম।
আবাসিক এলাকায় কারখানা হলেও উক্ত কারখায় নেই কোন অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, আবাসিক এলাকায় রাত দিন ২৪ ঘন্টা কাজ করায় মেশিনের শব্দে চামড়া ও প্লাস্টিকের গন্ধে অতিষ্ঠ জনজীবন।
এলাকাবাসী বলছেন সামনে গরম কাল হওয়ায় যেকোনো মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, আতংকিত আমরা মহল্লা বাসী।
বাড়ির মালিক আবুল হোসে বলছেন আমি এবিষয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি এবং তাদেরকে চলে যেতে বলেছি কিন্তু তারা যাচ্ছে না এতে আমরাও আতঙ্কিত।
এবিষয়ে জামগড়া এলাকার বিট কর্মকর্তা অমিতাভ উপপরিদর্শক আশুলিয়া থানা বলেন আবাসিক এলাকায় অবৈধ কারখানা একেবারেই নিষিদ্ধ, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা।
এ জাতীয় আরো খবর..